প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হলো ওসামা বিন লাদেনের দুর্লভ সব ছবি

বাড়িটা প্রাচীন। কাদামাটি আর পাথরের তৈরী। এলাকাটা পাহাড়ি। শীতকালে তুষারে ঢাকা থাকে। চলার পথগুলো অমসৃণ, চ্যালেঞ্জিং। আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের আফগানিস্তানে আত্মগোপনে থাকার সময়কালের এরকমই সব ছবি প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। এই প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হলো ছবিগুলি। ম্যানহাটেন ফেডারেল কোর্টের এক সন্ত্রাস মামলায় সম্প্রতি এই ছবিগুলো উপস্থাপন করা হয় প্রমাণ হিসেবে। নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলারও অনেক আগে তোলা ছবিগুলি। আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ি এলাকার গোপন আবাসস্থলের ভেতর-বাইরের অন্তরঙ্গ সব ছবি রয়েছে এখানে।
 তোরাবারা পাহাড়ি এলাকায় কালাশনিকভ রাইফেল হাতে ওসামা বিন লাদেন
সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র করার দায়ে বিন লাদেনের সমর্থক লেফটেন্যান্ট খালেদ আল-ফাওয়াজের বিচার চলাকালে গত মাসেই প্রথম এই ছবিগুলি আলোর মুখ দেখলো। এই আল-ফাওয়াজই ১৯৯৭ সালে সিএনএন-এর জন্য ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে দিয়েছিল। এক বছরের মাথায় এবিসি নিউজের জন মিলারও তার সহায়তাতেই সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন বিন লাদেনের। কিন্তু তারও আগে ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনের প্রিন্ট মিডিয়ার এক ফটো সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আল-ফাওয়াজ। তারই তোলা ছবি এগুলো।
 ১৯৯৮ সালে তোলা হয় এই ছবিটি
 জালালাবাদ থেকে তোরাবোরা যাওয়ার দুর্গম পাহাড়ি পথের একাংশ
গোপন আবাসস্থলের ভেতরে
ঘরের দরজায় পাহাড়া দিচ্ছে এক তরুণ
বিন লাদেনের গোপন আবাসের বাইরের দৃশ্য
তোরাবোরার আবাস থেকে বের হওয়ার গোপন পথ
বিন লাদেনের দুই বেডরুমবিশিষ্ট আবাস
তোরাবোরার সব সময়ই ক্ষুধা ছিল বিন লাদেনের সঙ্গী। তার সন্তানদের
অধিকাংশ সময় ভাত, রুটি, ডিম আর নোনতা পনির খেয়ে থাকতে হয়েছে
তোরাবোরায় জীবনযাপন প্রাচীন ধরণের। রাতে চাঁদের আলো আর তেলের লণ্ঠনই ভরসা
চলার পথে হাস্যরত বিন লাদেন
ফটো সাংবাদিক আবদেল বারি জানান, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সেনা
মোতায়েনের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন বিন লাদেন
শীতকালে পর্বতের তুষারপাত সীমা পেরিয়ে যেতে হতো তোরাবোরার আবাসে
পরিবারের সদস্য ছাড়াও অনেক আল কায়েদা যোদ্ধাও থাকতেন বিন লাদেনের সঙ্গে
বিন লাদেনের সঙ্গে সিরিয় বংশোদ্ভুত আবু মুসাব আল-সুরী
ও ব্রিটিশ ডকুমেন্টারি নির্মাতা গুয়েইন রবার্টস
আশির দশকে সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের সময়
এই তোরাবোরার সন্ধান পান বিন লাদেন
তোরাবোরা এলাকায় ২০০১ সালের যুদ্ধে দুই শতাধিক আল-কায়েদা যোদ্ধা নিহত হয়।
তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বিন লাদেন আর আইমান আল-জাওয়াহিরি
বিন লাদেনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছেন ফিলিস্তিনি ফটো সাংবাদিক আতওয়ান
পাহাড়ের পাদদেশে একাকি ঘুরছেন বিন লাদেন
১৯৯৬ সালে জালালাবাদ শহরে আবাস গড়েন বিন লাদেন। ওখান থেকে
তোরাবোরার গোপন আবাসস্থল দীর্ঘ পথ- যেতে হয় দুর্গম পাহাড়ি পথ দিয়ে
বাড়িটা প্রাচীন। কাদামাটি আর পাথরের তৈরী। এলাকাটা পাহাড়ি। শীতকালে তুষারে ঢাকা থাকে। চলার পথগুলো অমসৃণ, চ্যালেঞ্জিং। আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের আফগানিস্তানে আত্মগোপনে থাকার সময়কালের এরকমই সব ছবি প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। এই প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হলো ছবিগুলি।
ম্যানহাটেন ফেডারেল কোর্টের এক সন্ত্রাস মামলায় সম্প্রতি এই ছবিগুলো উপস্থাপন করা হয় প্রমাণ হিসেবে। নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলারও অনেক আগে তোলা ছবিগুলি। আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ি এলাকার গোপন আবাসস্থলের ভেতর-বাইরের অন্তরঙ্গ সব ছবি রয়েছে এখানে।
সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র করার দায়ে বিন লাদেনের সমর্থক লেফটেন্যান্ট খালেদ আল-ফাওয়াজের বিচার চলাকালে গত মাসেই প্রথম এই ছবিগুলি আলোর মুখ দেখলো। এই আল-ফাওয়াজই ১৯৯৭ সালে সিএনএন-এর জন্য ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে দিয়েছিল। এক বছরের মাথায় এবিসি নিউজের জন মিলারও তার সহায়তাতেই সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন বিন লাদেনের। কিন্তু তারও আগে ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনের প্রিন্ট মিডিয়ার এক ফটো সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আল-ফাওয়াজ। তারই তোলা ছবি এগুলো।

No comments

Powered by Blogger.