সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলার কড়া সমালোচনা

আইএসের তাড়া খেয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে ঢুকেছে সিরিয়ার
অনেক কুর্দি পরিবার। আন্তর্জাতিকভাবে মতৈক্য হলে তুর্কি
সেনাবাহিনী এই শরণার্থীদের জন্য সিরিয়ার ভেতরেই
একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়তে কাজ করতে আগ্রহী।
গতকাল তুরস্কের সুরুক শহর থেকে তোলা ছবি।
সিরিয়ায় বিমান হামলার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন দেশে ‘সামরিক হস্তক্ষেপ’ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। গতকাল শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই অভিযোগ করেন। খবর এএফপি ও জাতিসংঘ ওয়েবসাইটের। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের কঠোর সমালোচনা করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজের স্বার্থ আদায়ে ওয়াশিংটন বিশ্বের যেকোনো স্থানে তার একতরফা শক্তি প্রয়োগের অধিকারকে খোলাখুলি প্রকাশ করছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো অন্য রাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার এই মনোভাব পরিহার করতে হবে।
ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: এর আগে গত শুক্রবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়েছে। আব্বাস বলেন, সাম্প্রতিক অভিযানে ইসরায়েল যা করেছে, তা পুরোপুরি যুদ্ধাপরাধ। বিশ্ববাসীর চোখের সামনেই এ যুদ্ধাপরাধ করেছে তারা। এ জন্য ইসরায়েলের শাস্তি পাওয়া উচিত। কড়া ভাষায় নিন্দা করলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করেননি আব্বাস। যদিও অতীতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তা করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় ইসরায়েলের ৫০ দিনের বিমান ও গোলন্দাজ হামলায় অন্তত দুই হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামাসের রকেট হামলা বন্ধ এবং তাদের তৈরি সুড়ঙ্গকাঠামো ধ্বংস করতে ইসরায়েল ওই অভিযান চালায়। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।
আরও বিশ্বনেতার ভাষণ: ইরাকের প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ মাসুম তাঁর ভাষণে বলেন, আইএস জঙ্গিদের পরাজিত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শুধু আইএসের জঙ্গি নয়, সব জায়গায় সব সন্ত্রাসীকেই নির্মূল করতে হবে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাককে সামরিক সহায়তা ও ইরাকি বাস্তুচ্যুতদের মানবিক সহায়তা দেওয়ায় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ইরাকের প্রেসিডেন্ট। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেন, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই খ্রিষ্টানের বিরুদ্ধে ইসলামের বা ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদিদের লড়াই নয়। সব সাম্প্রদায়িক চরমপন্থার বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে। ছোট দ্বীপদেশগুলোর নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা চেয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.