ক্ষতিপূরণের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থাও জরুরি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
নির্বাচন না ছিল অবাধ, না ছিল সুষ্ঠু
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক বিতর্কে বলা হয়, ওই নির্বাচন না ছিল অবাধ, না ছিল সুষ্ঠু। সে কারণে তা সঠিক বা যথার্থ হয়নি বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঘোষণা করা উচিত। পাঠক কাজী এস আহমদের মন্তব্য: যে যতই চেঁচাক, ওনারা কানে তুলো দিয়েছেন আর চোখে পাশের দেশের দেওয়া রঙিন চশমা। অধিকাংশ জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এবং বাকি জায়গায় একপ্রকার ভোটার ছাড়া ক্ষমতা পাকাপোক্ত হওয়ার যে আনন্দ ওনারা পেয়েছেন, সেটা অনেকটা বাঘের রক্তের স্বাদ পাওয়ার মতো। এই স্বাদ ভুলে বাস্তবতার নিরিখে গণতন্ত্রের ডাকে ওনারা সাড়া দেবেন, অধিকাংশ জনগণের চাওয়া এবং বিদেশি বন্ধুদের উপদেশকে উপযুক্ত সম্মান দেবেন, সেটা আশা করা যদিও বাতুলতা, তবু আশা করব, আমাদের মনের কথা বুঝে ওনারা অনৈতিক অবস্থান থেকে সরে আসবেন। সোলায়মান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগেই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে, নতুন করে অন্য কিছু বলার অবকাশ নেই। আপনারা পর্যবেক্ষকই পাঠাননি, তাহলে কীভাবে বুঝলেন নির্বাচন খারাপ হয়েছে। দেশি পর্যবেক্ষকেরা তো খুব একটা খারাপ বলেননি। জামায়াত-বিএনপি যে সহিংসতা ঘটিয়েছে, এটি যদি আপনাদের দেশে ঘটাত, তাহলে কি আমাদের ভোটের অর্ধেকও কালেকশন হতো?
সরকার যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে পারাতে স্থগিত কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ৫০ শতাংশের ওপর ছিল। ওই কেন্দ্রগুলোতে অন্য কিছু হওয়ারও সুযোগ হয়নি। হেলাল: শুধু বিদেশেই নয়, বাংলাদেশের বোকা জনগণ এ রকমের অদ্ভুত প্রহসনের নির্বাচন এর আগে কখনো দেখেনি! আর এখন বিরোধী দলগুলোকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে আর তারা কোনো রকমের সরকারের অনৈতিক কাজের সমালোচনাই করতে না পারে! মো. গোলাম মামুন চৌধুরী: বিদেশিরাই বিএনপি-জামায়াতের মাথায় ইট ভেঙেছে। বিএনপি বিদেশিদের ওপর অতিনির্ভরতা দেখিয়ে ডুবেছে। বিদেশিরা নির্বাচনের আগে যেভাবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে গান গেয়েছিল, নির্বাচনের পরে ঠিক উল্টো পথেই সরকারকে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য ও অভিনন্দন জানিয়েছে। আসলে বিদেশিরা জোয়ারের আগে আগেই চলে। এখন বিএনপি আর কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। ২০১৯ সাল পর্যন্ত যদি শক্তি ধরে রাখতে পারে তাহলে কিছু হতে পারে। আর যদি শক্তি হারিয়ে ফেলে তাহলে আওয়ামী লীগের ভিশন-২০২১ পরিকল্পনা এগিয়ে যাবে। আব্দুল মজিদ কাজী: তাদের মাথাব্যথা খুব বেশি মনে হচ্ছে। আমাদের দেশের বিরোধী দলকে নির্বাচনের সুযোগ দিয়েই বা কী লাভ। যদি তারা সরকার গঠনের মতো মেজরিটি না হয়, তবে তো আবার তাদের তোষামোদ করতে হবে সংসদে আসার জন্য। এই হচ্ছে আমাদের দেশ!
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় নিজামী-বাবরসহ ১৪ জনের ফাঁসি
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে এ ডব্লিউ হক লিখেছেন: যত দ্রুত রায় কার্যকর করা যায়, তত দ্রুত দেশের মঙ্গল। আপিল, নানা টালবাহানা, চাপটাপ অগ্রাহ্য করে ফাঁসি এখনই কার্যকর করা উচিত। সাব্বির আহামেদ: বিচারক সাজাপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে বলেন, পৃথক দুই মামলায় যাবজ্জীবন ও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে এবং আসামিদের হাজতবাস সাজা থেকে বাদ যাবে। মানে ১৪ বছর জেল খাটার পর কি ফাঁসি হবে? বিরোধী দলবিহীন সংসদ দশম সংসদে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে অভিষিক্ত হওয়ার পরও একে সরকারি-বিরোধী দল বা বিরোধী-সরকারি দল বলেই মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আলী রীয়াজের এই কলামের মন্তব্যে পাঠক সায়েম সজল লিখেছেন: যেমন আমরা, তেমনি আমাদের সরকার ও বিরোধী দল। আমরা দুমুঠো ভাতের জোগাড় হলে দরজায় খিল দিই। দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে, আমাদের বয়েই গেল!! যত দিন না আমাদের দেশের প্রতি সেন্স অব ওনারশিপ (sense of ownership) আসবে, সরকার, বিরোধী দল যার যা খুশি করতেই থাকবে। সাইফ আল খান: পরাজয়ের ভয়ে হোক বা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে হোক বিএনপি জোট নির্বাচনে না এলে বর্তমান নির্বাচিত সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে কেন? সোলায়মান: বিএনপি তো গত পাঁচ বছর সংসদে যায়নি। তখন কি বিরোধী দলবিহীন ছিল না?
কমল হাসান: কটি লাইনের সূত্র ধরে বলতে হয়, আমরা সংসদের বর্তমান বিরোধী দলকে যেই বিশেষণেই বিশেষায়িত করি না কেন, এ প্রশ্ন ঘুরেফিরেই আসবে যে, ‘এযাবৎকালে বিরোধী দলের সংসদে ভূমিকা কী ছিল?’ কী হতে পারত আর কী হয়েছে? এসব হতাশার বাণী চর্চা বন্ধ করে বরং যা আছে তারই সর্বোত্তম ব্যবহার কী উপায়ে করা যায়, সেটাতেই মনোনিবেশ করা উচিত। বিরোধী দল হলো সরকারেরই একটি ছায়া। কিন্তু আমাদের বিরোধী দলগুলো কোনোকালেই সেই সংজ্ঞাতে পড়েনি! বরং সাধারণের জীবনযাপনে সাক্ষাৎ যমরূপে আবির্ভূত হয়েছে! তাদের নিজেরই ধারণা ‘বিরোধী দলের কাজ হলো শুধুই বিরোধিতা করা’। শহিদুল ইসলাম: নয়া এক গণতন্ত্র পেয়েছি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর। কোথাও এ ধরনের গণতন্ত্র নেই। প্রচলিত ধারার গণতন্ত্রের সংজ্ঞার সঙ্গে বাংলাদেশি গণতন্ত্রের কোনো মিল নেই। এই গণতন্ত্রে কোনো ভোটের প্রয়োজন হয় না। সংসদেও দরকার হয় না বিরোধী দলের। বিরোধী নেত্রী আছেন, আছেন তাঁর দলের মন্ত্রীরা। দলের প্রধান সরকারের বিশেষ দূতও। সরকার আর বিরোধী দলকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। শওকত আলী: ২৯ জানুয়ারি যে সরকারকাঠামো এবং সংসদ শুরু হলো, তা ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশ নেওয়া ছাড়াই নির্বাচন হওয়ার ধারা তৈরি হবে, যা অদূর ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি বারবার ব্যবহার হবে। জনগণ শুধুই তাকিয়ে দেখবে।
যারা নির্বাচনে জিতে উল্লাস করছে এবং যেসব সমর্থক, সুশীল সমাজ সরকারকে বাহবা দিচ্ছে, তাদেরও একদিন অনুতাপ করতে হবে এই ভুলের জন্য। কিন্তু সেদিনও আমরা সাধারণ জনগণ শুধুই তাকিয়ে দেখব। কপাল পুড়বে আমাদের কিন্তু বলতে পারব না কিছুই। রানা প্লাজা ধস: ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত, বাগড়া মালিকদের রানা প্লাজায় নিহত, নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজন এবং আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে সরকারি কমিটি। কিন্তু এ নিয়ে বাগড়া বাধাচ্ছেন পোশাকমালিকেরা। এ নিয়ে মন্তব্য করে পাঠক মনিরুজ্জামান লিখেছেন: রানা প্লাজার মালিক রানার বাকি সম্পত্তি বেচে আবার রানা প্লাজার জায়গায় ভবন বানিয়ে দোকান-অফিস বেচে টাকার জোগান দেওয়া যেতে পারে। পোশাকমালিকদের সম্পত্তি একইভাবে নিলাম করে টাকার জোগান দেওয়া যেতে পারে। কারণ ওনারা জীবনবিমা করেননি। রেজা: যথাযথ ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থাও জরুরি। সাইফুর সাহিন: আদালত নির্দেশিত কমিটির ক্ষতিপূরণের সুপারিশ অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপে বাস্তবায়ন করার দাবি জানাই।

No comments

Powered by Blogger.