১৬ বছর বয়সে দক্ষিণ মেরুতে!

লুইস ক্লার্ক
দুর্গম দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাল মাত্র ১৬ বছর বয়সী ব্রিটিশ কিশোর লুইস ক্লার্ক। সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর নতুন রেকর্ড গড়ল সে। ব্রিস্টল শহরের বাসিন্দা লুইস মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতির বাতাসের মধ্যে ৪৮ দিন কাটিয়েছে। নিজের ১৬তম জন্মদিন উদ্যাপনের দুই সপ্তাহের মাথায় গত ২ ডিসেম্বর অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে সে। প্রতিদিন গড়ে আট ঘণ্টার বেশি করে ভ্রমণ করে লুইস। সঙ্গে ছিলেন মেরুতে ভ্রমণে অভিজ্ঞ পথপ্রদর্শক কার্ল আলভি। ৭০২ মাইলের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার গ্রিনিচ মান সময় সন্ধ্যা ছয়টায় আমুন্ডসেন-স্কট দক্ষিণ মেরু স্টেশনে পৌঁছায় এ সাহসী কিশোর।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সে এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্যপ্রমাণ হাজির করবে। দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর পর লুইস বলে, ‘আমি সত্যিই খুশি। এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে গত ৪৮ দিনের মধ্যে কাল প্রথমবারের মতো আমাকে তুষার ও হিমশীতল বাতাস উপেক্ষা করে স্লেজ গাড়িতে চাপার জন্য ঘুম থেকে জাগতে হবে না। আজকের দিনটা সত্যিই কষ্টকর ছিল। আমি যতই মেরুর কাছাকাছি হচ্ছিলাম, ততই গতি কমে আসছিল। পায়ে আর কুলাচ্ছিল না। তবে এখন আমি পৌঁছে গেছি।’ যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলের কুইন এলিজাবেথ হসপিটাল স্কুলের শিক্ষার্থী লুইস ক্লার্কের এই মেরু ভ্রমণ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পেলে তা কানাডার সারা ম্যাকনাইর ল্যান্ডির রেকর্ডটি ভাঙবে। ল্যান্ডি ১৮ বছর বয়সে ২০০৫ সালে একই উপকূল থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণ মেরুর ওই স্টেশনে পৌঁছে রেকর্ড গড়েছিলেন। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.