আতিকুল হক চৌধুরীর অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার-কতটা দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি জানি না

চলে গেলেন খ্যাতিমান নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরী। 'দূরবীন দিয়ে দেখুন', 'নীলনকশার সন্ধানে', 'সুখের উপমা', 'বাবার কলম কোথায়'সহ অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকের এই কুশলী নির্মাতার প্রয়াণে দেশের নাট্যজগতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
বেশ কিছুদিন আগে এই প্রতিভাবান নাট্যনির্মাতার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ফজলুল আলম। অপ্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপনের ভেতর দিয়ে আতিকুল হক চৌধুরীকে কালের কণ্ঠের শ্রদ্ধা
আগে (টিভি) নাটক ভালো হতো, এখন হচ্ছে না কেন? আগে একটা নাটকের শুটিংয়ের আগে সাত দিন রিহার্সেল হতো। এক দিন ক্যামেরা রিহার্সেল হতো। ড্রাই রিহার্সেল হতো। প্যানেলে রিহার্সেল হতো। আরেকটা ব্যাপার হলো, লাইভ করা হতো- আতিকুল হক চৌধুরী

ফজলুল আলম : বাংলাদেশের ছোট পর্দার নাটক বলতে আমরা এক কথায় বুঝি, টেলিভিশনের নাটক। আতিকুল হক চৌধুরী, আপনি বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ। এই ছোট পর্দার নাটক বিষয়ে আমরা আপনার কথা শুনতে চাই।
আতিকুল হক চৌধুরী : আমি নিজেকে অভিজ্ঞ বলব না, মানুষ তো প্রতিদিনই শেখে। আমি এখনো অনেক কিছু বুঝি না, অনেক কিছু জানি না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নাটকগুলো মানুষের কাছে পৌঁছানো। নাটককে দর্শকদের মনের কাছে পৌঁছাতে গেলে মন ঢেলে দিতে হয়। আমি কতটা মন ঢেলে দিতে পেরেছি জানি না, কতটা দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি জানি না। তবে চেষ্টা করছি।
ফজলুল আলম : আপনার কি মনে হয় না যে প্রথম যখন থেকে বাংলাদেশে টেলিভিশন আসে তখন থেকেই এ দেশে নাটক প্রচারিত হচ্ছে ছোট পর্দায় এবং সেটা দর্শকদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে আকর্ষণীয় করে আনা হয়েছিল। আমার মনে আছে, সে সময় প্রতি সপ্তাহে একটি করে নাটক প্রচারিত হতো এবং বাংলাদেশের সব শহরে, যেখানে যেখানে টেলিভিশন ছিল, সেখানে স্তব্ধ হয়ে থাকত দর্শকরা সেই নাটকটা দেখার জন্য। তার অর্থ কি এই না যে দর্শকদের আপনারা আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন?
আতিকুল হক চৌধুরী : ওই সময়টায় হয়েছিল কি, টেলিভিশন তো নতুন এসেছে। আর টেলিভিশনের নাটকের যে কনসেপশন, সেটাও তখন নতুন। লোকে রেডিও শুনত, সিনেমা দেখেছে, মঞ্চ দেখেছে। হঠাৎ করে নাটকটা যখন ছোট পর্দায় এলো, তখন টেলিভিশন নাটকের প্রতি একটা দারুণ এঙ্সাইটমেন্ট ছিল। আমরাও প্রথম প্রথম নাটকে হাতেখড়ি নিয়ে টেলিভিশনে যে নাটকগুলো করতাম, তাতে আমরাও খুব এঙ্সাইটেড ফিল করতাম এবং আপনি যে বললেন দর্শকদের ইনভল্ভমেন্ট নাটকের সঙ্গে, এটার সঙ্গে, আমার মনে আছে, কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠান হলে লোকে তাড়াতাড়ি চলে যেত, যেন নাটকটা মিস না করতে হয়। কিন্তু সেই আকর্ষণটা বোধহয় এখন আগের মতো অতটা নেই। বিশেষ করে আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনের কথা বলছি।
ফজলুল আলম : কেন নেই?
আতিকুল হক চৌধুরী : এর অনেক কারণ।
ফজলুল আলম : অনেক কারণ ব্যাখ্যার আগে আমার আরেকটি প্রশ্ন, আপনার কি মনে হয়, সেই সময়কার নাটকে উৎকর্ষ অনেক বেশি ছিল?
আতিকুল হক চৌধুরী : সব নাটক নয়। তবে ভালো ভালো নাটক ওই সময়ই হয়েছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানেন, ডিআইটিতে ছোট্ট একটা স্টুডিও। ওই স্টুডিওতে নাটক করাই একটা কঠিন ব্যাপার ছিল। আসলে টেলিভিশন নাটকের কসসেপ্টকে বলা হয় স্টুডিও থিয়েটার। স্টুডিওর মধ্যে সেট হবে, অভিনয় হবে এবং আমি স্পষ্ট করেই বলছি দর্শকদের উদ্দেশে, টেলিভিশনে ভালো যে নাটকগুলো তা সবই স্টুডিওর ভেতরে। যখন আমরা স্টুডিও থেকে বের হলাম, তখন হয়তো জৌলুসটা বেড়েছে, হয়তো ক্যানভাসটা বড় হয়েছে, কিন্তু টেলিভিশন নাটকের যে ধারা, তা কিন্তু আমরা আর ধরে রাখতে পারিনি।
ফজলুল আলম : মঞ্চনাটক যেহেতু মঞ্চের ওপরেই হবে, মঞ্চের বাইরে যেহেতু কোনো লোকেশন নেই, তাই যাচ্ছে না। সেই রকম টেলিভিশন নাটকটাও বাইরে গেলে আর নাটক থেকে ফিল্ম হয়ে যাচ্ছে না?
আতিকুল হক চৌধুরী : টেলিফিল্ম যদি বলা হয়, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু টেলিভিশন নাটক যদি বলেন, তাহলে টেলিভিশন নাটকের যে মূলধারা, তার মধ্যে থেকেই করতে হবে। আপনি মনে করেন যে মোস্তফা মনোয়ার সাহেব 'মুখরা রমণী বশীকরণ' নাটকটি করেছেন, আবদুল্লাহ আল মামুন 'বরফ গলা নদী' করেছে, সব কিন্তু সেটের মধ্যে সেট করে করা হয়েছে। দর্শকরা সেই সেটগুলোকে মনে করেছে জীবন্ত এবং ওই সময় সেটের নাটকগুলোতে যে অভিনয় হতো তাতে অভিনয়ের যে প্রাণ ছিল, তা কিন্তু এখন নেই।
ফজলুল আলম : আপনি যেটা বলছেন, লোকেশন আর সেটের মধ্যে পার্থক্য। আচ্ছা, আমি যদি একটা সেট বলতে বোঝাই, চার দেয়ালের মধ্যে আমাদের টেলিভিশন স্টুডিওটা যেমন আছে, বিরাট বড় এরিয়া ওখানে একটা সেট বানিয়ে যদি নাটক করা যায়, এখন কিন্তু সে রকম সেট বানানোর জায়গা টেলিভিশন কম্পানির নেই। একটা বাড়ি আমি ভাড়া নিয়ে ওখানে যদি নাটক করি, তাহলেও সেটা সেট হলো?
আতিকুল হক চৌধুরী : সেট হলো কিন্তু টেলিভিশন নাটক হলো না। আপনি মনে করেন, আমি একটা নাটক করেছিলাম 'বড়দিদি'। বড়দিদির ভেতরে ছিল মাস্টার মশাই নৌকায় করে আসছে। স্টুডিওর ভেতরে লাইটিং করে এমনভাবে সেই নৌকা আনা হলো, একটা ফ্লাটের ওপরে সেই নৌকা নামানো হলো, চাকা দেওয়া হলো এবং নৌকাটা আস্তে আস্তে এগোতে লাগল, মনে হলো যে নদী এবং নদীর মধ্যে নৌকাটা চলছে। এটার তো একটা আলাদা ইফেক্ট এবং এটাই হলো টেলিভিশনের নিজস্বতা। আমি এ কথা বলব না যে টেলিভিশনের নাটক বাইরে যেটা হচ্ছে, সেটা হওয়ার দরকার নেই এবং তাতে টেলিভিশনের নাটকের ক্যানভাসটা বাড়েনি! কিন্তু আপনি যখন টেলিভিশনের নাটক বলবেন, তখন টেলিভিশনের নাটকের মূলধারা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
ফজলুল আলম : আপনাকে আবার আমি প্রথম প্রশ্নে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। সে সময় একটা টিভি চ্যানেলের নাটকে যে জৌলুস ছিল, এখন অনেক টিভি কম্পানি বাংলাদেশে হয়ে যাওয়ার পর আপনি কি মনে করছেন, সেই সময়ের তুলনায় এখনকার নাটকে দর্শকদের আকর্ষণ অনেক কমে গেছে?
আতিকুল হক চৌধুরী : না, এখন যেসব নাটক হচ্ছে বিভিন্ন চ্যানেলে, সেটা হয়তো ও রকম একটা ধাক্কা, ও রকম একটা কম্পন হয়তো সৃষ্টি করছে না। কিন্তু ভালো ভালো নাটক হচ্ছে। ভালো ভালো নাট্যকার আসছে। তরুণ নাট্যকার আসছে। ভালো শিল্পী আসছে। কিন্তু মুশকিল কি জানেন, এখন এত বেশি নাটক হচ্ছে যে শিল্পী-কলাকুশলী কেউই এত বেশি কনসেনট্রেশন ওই নাটকের দিকে দিতে পারছে না। আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন যে একই শিল্পী তিন-চারটি নাটকে একই সঙ্গে কাজ করছে। তো সে কখন স্ক্রিপ্ট পড়বে, কখন স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করবে। কখন চরিত্রটির সঙ্গে নিজেকে ইনভল্ভ্ করবে। তো একজন শিল্পীর পক্ষে একই সঙ্গে এত চরিত্রের সঙ্গে ইনভল্ভ্ হওয়া কিন্তু সম্ভব নয়। কিন্তু এটার জন্য আমি শিল্পীকে দোষ দেব না। কারণ আপনি যতই নাটক-নাটক করেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদ বড় কঠিন।
ফজলুল আলম : একসময় আমরা ইংরেজি নাটক দেখার জন্যও পাগল ছিলাম। এখন আমরা ঘরে বসেই বিদেশি সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল দেখতে পাচ্ছি। শুধু বাংলা নয়; হিন্দি, তামিল অনেক ভাষায় আমরা দেখতে পাচ্ছি এবং অনেকের আবার ইংরেজি সাবটাইটেলও দেখতে পাচ্ছি। আপনার কি মনে হয় না, ছোট পর্দায় নাটক এখন এত বেশি, যেটা আপনি বললেন শুধু সংখ্যায় বেশি তা নয়, বিভিন্ন ধরনের বিভিন্নভাবে তা দেখা যাচ্ছে, সে জন্য বাংলা নাটকের ওপর আকর্ষণ কমে গেছে?
আতিকুল হক চৌধুরী : আকর্ষণ কমে গেছে, এটা আমি বলব না। তবে বিভিন্ন চ্যানেলে যে বিদেশি নাটকগুলো হচ্ছে, সেগুলো তো টেকনিকের দিক দিয়ে অনেক হাই। শুধু টেকনিক নয়, অন্যান্য দিক- অভিনয়ের দিক বলেন, সৃষ্টির দিক বলেন, পরিবেশনার ভঙ্গি বলেন, সেটা খুবই উঁচুমানের।
ফজলুল আলম : এখানে দুটো দিকের কথা বলেছেন। একটা টেকনিক্যালিটির পার্থক্য এবং এই টেকনিক্যাল পারফেকশনটা কি তাঁদের দামি ক্যামেরা বা দামি সেট এসবের জন্য? না তাঁরা লেখাপড়া করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এ পর্যায়ে এসেছেন?
আতিকুল হক চৌধুরী : ভালো কথা বলেছেন। এ দুটোই সত্যি। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, আমি যেটা মনে করি, প্রফেশনালিজম। সেখানে সিরিয়াসনেস আছে, ইনভল্ভ্মেন্ট আছে, প্রফেশনালিজম আছে।
ফজলুল আলম : আমাদের এখানে প্রফেশনালিজম কম?
আতিকুল হক চৌধুরী : কম। কারণ আমরা খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু পেতে চাই, তাড়াতাড়ি।
ফজলুল আলম : (হেসে) তাড়াতাড়ি না করলে তো খরচ বেড়ে গেল?
আতিকুল হক চৌধুরী : আগের একটা কথায় আসি, আগে নাটক ভালো হতো, এখন হচ্ছে না কেন? আগে একটা নাটক শুটিংয়ের আগে সাত দিন রিহার্সেল হতো। এক দিন ক্যামেরা রিহার্সেল হতো। ড্রাই রিহার্সেল হতো। প্যানেলে রিহার্সেল হতো। ও আরেকটা ব্যাপার হলো, লাইভ করা হতো। আর লাইভ করা হলে শিল্পীরা অনেক সিরিয়াস থাকে এবং অভিনয়ের যে দাপট, অভিনয়ের যে ঝাপটা, সেটা লাইভ নাটকের ভেতর যতটা ছিল, এখন কিন্তু রেকর্ডেড নাটকে অতটা নেই।
ফজলুল আলম : সেই সময় লাইভ ব্রডকাস্ট হতো? সব নাটক লাইভ ব্রডকাস্ট হতো?
আতিকুল হক চৌধুরী : হ্যাঁ। সব প্রোগ্রামই লাইভ ব্রডকাস্ট হতো এবং সেই লাইভ ব্রডকাস্ট যেসব নাটকে হতো, আমার মনে হয়, দর্শকদের সেসব নাটকের কথা এখনো মনে আছে।
ফজলুল আলম : এটা আমি আগে জানতাম; কিন্তু সেটা কতটা দুরূহ ছিল, সেটা লক্ষ করিনি।
আতিকুল হক চৌধুরী : কিন্তু একটা ডায়ালগও ভুল হতো না। এত এলার্ট ছিল।
ফজলুল আলম : কিন্তু তার জন্য কি আপনারা শিল্পী পেয়েছিলেন এবং শিল্পী তৈরি করতে পেরেছিলেন?
আতিকুল হক চৌধুরী : আপনাকে এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলছি। আমার একটা নাটক 'ক্রীতদাসের হাসি' লাইভ যাচ্ছে। তার মধ্যে বাদশাহ যিনি হয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম আর মহিলা চরিত্রটি ঠিক আমার মনে নেই। তবে অভিনয় করেছিলেন সুলতানা জামান। তো দুজনেরই পায়ে জরির জুতা থাকার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জরির জুতা আর পাওয়া গেল না। শেষ পর্যন্ত সুলতানা জামান খালি পায়ে আর সিরাজুল ইসলাম অঙ্ফোর্ড স্যান্ডেল পরে বাদশা হারুন-অর রশীদের রোল করছেন। ক্যামেরাম্যানদের বলে দেওয়া হয়েছে, পা যেন না দেখা যায়। কেউই তো জানে না যে পায়ে জুতা ছিল না। কিন্তু কি যে অভিনয় করেছেন সিরাজুল ইসলাম ও সুলতানা জামান, অচিন্তনীয়। আবদুল্লাহ আল মামুন ছিল ওই নাটকে। তাতারীর রোল করেছিল। খুবই ভালো অভিনয় করেছিল মামুন। ক্রীতদাসের হাসি, আমি মনে করি, আমার নাটক বলে নয়, কয়েকটি নাটকের মধ্যে এটা সত্যিই বোধহয় একটি ভালো নাটক হয়েছিল।
ফজলুল আলম : আচ্ছা আপনি এখনো ছোট পর্দার জন্য নাটক তৈরি করেন। এখনো আপনি ওই রকম সাত দিন ধরে রিহার্সেল করে তারপর নাটক করেন?
আতিকুল হক চৌধুরী : তেমন প্রশ্নই ওঠে না। এসব কেন হয় না, আমি আপনাকে বলি। যে আর্টিস্টকে টিভি নাটকের জন্য বুক করা হলো, সে বলল, আমি ওই দিন করতে পারব না। আমার ওই দিন মঞ্চে কাজ আছে। সুতরাং ডেট চেঞ্জ করে দিন। আর্টিস্টটি অত্যন্ত ভালো। তাকে অ্যাকোমোডেট করার জন্য ডেট চেঞ্জ করা হলো। তারপর সে বলল যে আমি এই কয়টির বেশি থাকতে পারব না। তাড়াতাড়ি করেন, তাড়াতাড়ি করেন এবং একই সঙ্গে সে মঞ্চের নাটক করে হয়তো সে প্যাকেজ নাটক করতে যাবে। আর প্যাকেজ নাটক করে আরেকটা প্যাকেজ নাটকের প্রস্তুতিতে যাবে। সুতরাং ভালো নাটক করার যে সিরিয়াসনেস বা লজিস্টিক সাপোর্ট, সেটা কোথায়?
ফজলুল আলম : আচ্ছা আমরা কি নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দিচ্ছি?
আতিকুল হক চৌধুরী : অবশ্যই দিচ্ছি। নতুন নাট্যকার আসছে, নতুন শিল্পী আসছে। কিন্তু এখানে যে কথাটা বলতে হয়, সেটা হচ্ছে, আগে টেলিভিশন নাটকে একটা রেটিংয়ের ব্যাপার ছিল, যে এটা করা যাবে না, এটা বলা যাবে না, এটা দেখানো যাবে না। প্যাকেজ বা প্রাইভেট চ্যানেলে যে নাটকগুলো হয়, তাতে তো সেটা নেই বলেই আমরা জানি। কিন্তু টিভিতে যে নাটক হতে পারত না রেটিংয়ের জন্য, সেই বাধা কি এখনো আছে? যদি না থাকে, আমার প্রশ্ন, আমরা কি মুক্তভাবে কিছু করতে সক্ষম? আমার নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন এবং যদি না করতে পেরে থাকি, তবে কেন?
ফজলুল আলম : আমার মনে হয়, আতিকুল হক চৌধুরীই এই প্রশ্ন দুটির উত্তর খোঁজার জন্য যোগ্য ব্যক্তি। সেটা পরে একসময় খুঁজতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.