অনলাইন থেকে-অ্যাসাঞ্জের ভাগ্যে কী ঘটবে

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আপাতত লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসেই দিন কাটাতে হবে। কারণ সোমবার ব্রিটেন ও ইকুয়েডরের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে সৃষ্ট অবস্থার মেঘ কাটেনি। কোনো সামাধানেও আসা যায়নি।
৪১ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করছেন। তিনি নিজেই তাঁকে সুইডেনে পাঠানোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইকুয়েডরের দূতাবাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগে তাঁকে সুইডেনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফেরত পাঠানোর কথা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে চাচ্ছেন না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ ও সফররত ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাটিনোর মধ্যে আলোচনা থেকে অ্যাসাঞ্জের জন্য কোনো ভালো খবর আসেনি। বরং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলোচনার সব রাস্তাই খোলা ছিল, কিন্তু তা থেকে কোনো ইতিবাচক ফল এলো না। দুই মন্ত্রী রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে একটি পথ খুঁজে বের করতে একমতও হয়েছেন। কিন্তু ব্রিটেন চাচ্ছে ব্রিটেনের আইন অনুসারেই এ সমস্যার সমাধান করতে।
ওদিকে পাটিনো বলেছেন, ইকুয়েডর সরকার অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাসে অবস্থান করতে দিতে প্রস্তুত আছে (কোনো কূটনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত প্রয়োজন হলে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাসাঞ্জ সেখানে অবস্থান করবেন)। ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, পাটিনো বলেছেন, আমি মনে করি, আমাদের দূতাবাসে তাঁর দিনাতিপাত একটি অবিচার। ইতিমধ্যেই এক বছর পার হয়ে গেছে। আমি আশা করি, তিনি আমাদের দূতাবাসেই বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করবেন না। এটা প্রত্যাশিত নয়।
এটি পরিষ্কার যে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন আনবে না। ইকুয়েডর চেয়েছে যে সুইডেন কর্তৃপক্ষ যদি দুজন নারীকে যৌন হয়রানি করার ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তাহলে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসেই করা হোক। কিন্তু এখনো সে ব্যাপারে সুইডেন কর্তৃপক্ষ কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। উল্লেখ্য, লন্ডনস্থ ইকুয়েডর দূতাবাসের সামনে ২৪ ঘণ্টা ব্রিটিশ পুলিশ পাহারায় রয়েছে অ্যাসাঞ্জ দূতাবাসের বাইরে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য। ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে ধরে পাঠানোর ব্যাপারে ব্রিটেনের দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং ব্রিটিশ পুলিশকে তা করতে হবে।
ইউকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের মার্কিন দলিলসহ বহু গোপন দলিল ফাঁস করে দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে।
ভারতের হিন্দি দৈনিক জাগরণ ও ব্রিটেনের ইনডিপেনডেন্ট
পত্রিকা অবলম্বনে : মহসীন হাবিব

No comments

Powered by Blogger.