সাভার ট্র্যাজেডি

সাভার ট্র্যাজেডির মতো দুর্যোগ আরও অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সজাগ না হলে এবং প্রতিরোধব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ১১২ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর আগে সাভারের বাইপাইলে স্পেকট্রাম ভবনধসে ৬৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা সহস্রাধিক।
যেভাবে বৃহত্তর ঢাকায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো অপরিকল্পিত বহুতল ভবন গড়ে উঠছে, তাকে আমরা ভবন না বলে বলব মরণফাঁদ। অতি মুনাফার লোভে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা ভবন যথাযথ নিয়মে তৈরি হয়েছে কি না, তা না দেখে ভবন ভাড়া নিয়ে তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে তুলছেন। দেখা গেছে, অনুমতি আছে পাঁচতলার কিন্তু ভবন তৈরি করা হয়েছে নয়-দশতলা। তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপন করার আগে অনুমতি পেতে প্রথমে রাজউক এবং ফায়ার সার্ভিসসহ ১৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সনদ নিতে হয়। তারপর বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সনদ দেয়। এসব নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ভবিষ্যতে পোশাকশিল্পে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে এবং পোশাকশিল্প বাঁচাতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। ভবন তৈরি এবং কারখানা স্থাপনে বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান সব বহুতল ভবন এবং তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনুপযুক্ত, সেগুলো চিহ্নিত করে বন্ধ করে দিতে হবে। ভবিষ্যতে ভবন তৈরি এবং কারখানা স্থাপনের সময় যথাযথ নিয়মকানুন মানার ব্যাপারে আরও কঠোর হতে হবে।
মাহতাব আলী, মিরপুর, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.