ড্রোন হামলায় চার নাগরিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত

চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপ শাখার (একিউএপি) নেতা আনওয়ার আল-আওলাকিসহ চার মার্কিন নিহত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিকে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চারজনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করল। এরিক হোল্ডার চিঠিতে সরকারের পক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, আওলাকিকে হত্যা করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, আওলাকির ১৬ বছরের ছেলে ও অন্য দুজনকে ড্রোন হামলার ‘বিশেষ লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়নি। সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান ও ড্রোন কর্মসূচি বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্ধারিত ভাষণ সামনে রেখে এরিক হোল্ডার ওই স্বীকারোক্তি দিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবারই ওবামার ওই ভাষণ দেওয়ার কথা।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে ড্রোন হামলার প্রয়োজনীয়তা, আইনি বৈধতাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। ইয়েমেন ও পাকিস্তানে ড্রোন হামলায় চার মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়ে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র খোলামেলাভাবে তথ্য প্রকাশ করল। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওলাকিকে একিউএপির অভিযান পরিচালনা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তাঁকে হত্যা করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল বলে মত দিয়েছে।
এরিক হোল্ডার বলেন, আওলাকি মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, আওলাকি ক্রমাগত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। আওলাকির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। ২০১১ সালে তিনি ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। এত দিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রোন হামলায় তাঁর নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেনি। সামির খান নামের আরেক মার্কিন আওলাকির সঙ্গে ড্রোন হামলায় নিহত হন। তিনি একটি অনলাইন সাময়িকীর মাধ্যমে আল-কায়েদার মতাদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
 এর এক মাস পর ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় আওলাকির তরুণ ছেলে আবদুর রহমানও নিহত হয়। তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে। ২০০৮ সালে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা জুড কেনান মোহাম্মদ পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন। বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ জঙ্গি-অধ্যুষিত একটি অঞ্চলে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জুড কেনান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়। তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে নিখোঁজ হন। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুড কেনান মোহাম্মদ ২০১১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ড্রোন হামলায় নিহত হয়ে থাকতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.