সরকারকে সিপিডি: নেতাদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনী কাঠামো ঘোষণা করুন

রাজনীতির পরিবর্তন না হলেও অর্থনীতিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া, ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কাজ বন্ধ করা, বিরোধীদলীয় নেতাদের মুক্তি দিয়ে একটি নির্বাচনী কাঠামো ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে “বর্তমান বাংলাদেশ: রাজনৈতিক প্রেক্ষিত ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ প্রস্তাব দেন। cpdসেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে দেশের রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তার গবেষণায় বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে প্রতিবছর গড়ে ১৭ দিন হরতাল হলেও গণতান্ত্রিক সরকার আমলে এই সংখ্যা গড়ে ৪৬ দিনে উন্নীত হয়েছে। এ অবস্থায় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে না। আর হরতালে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকার।

গবেষণায় বলা হয়, হরতালের কারণে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহ ৭৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈদেশিক বিনিয়েগ প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে এই হার ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমেছে।
cpd
তিনি বলেন, সিপিডির গবেষণা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। যদিও অর্থমন্ত্রী বলছেন, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ থাকলেও প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ অর্জিত হবে। গত ৮ মাসে অর্থের তারল্য ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা ৬১ হাজার কোটি ৭০ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এ কারণে কলমানি রেটও কমেছে। ২০১২ সালে কলমানি রেটের ওপ সুদের হার যেখানে ছিল ১০ দশমিক ৬ শতাংশ সেখানে চলতি বছরে মার্চে তা নেমে হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকারের শেষ সময়ে অর্থপাচারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময়ে এই হার দুইগুণ বেড়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, হরতালের কারণে রাজস্ব আয়ও তিন হাজার কোটি টাকা কম হবে। হরতালে রফতানি ৫৮৩ মিলিয়ন ডলার কমেছে, আমদানি কমেছে ২৮৪ মিলিয়ন।

No comments

Powered by Blogger.