ওয়াশিংটনে সন্দেহজনক কাশ্মীরি এনজিওর পরিচালক গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কাশ্মীর আমেরিকান কাউন্সিলের (কেএসি) পরিচালককে ওয়াশিংটনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য কেএসি প্রতিষ্ঠা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ গত মঙ্গলবার কেএসির পরিচালক গুলাম নবী ফাইকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। কেএসি কাশ্মীর সেন্টার নামেও পরিচিত।
মার্কিন অ্যাটর্নি নিল ম্যাকব্রাইড বলেন, গুলাম নবী দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান পাকিস্তানের পক্ষে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। গুলাম নবীকে যাঁরা পরিচালনা করছিলেন, তাঁরা ওই এনজিওর মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তা, উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজন ও অন্যান্য প্রচেষ্টায় লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেন।
মার্কিন নাগরিক গুলাম নবীর বিরুদ্ধে বিদেশি সরকারের অর্থ সহায়তায় ও নির্দেশে তদবির করার বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, কেএসি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। একে কাশ্মীরভিত্তিক এনজিও বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কাশ্মীরের জনগণের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় এবং মার্কিন জনগণ এর অর্থ জোগান দেয়। এর সব তথ্যই ভুল। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, কেএসি হলো তিনটি কাশ্মীর সেন্টারের একটি, যা পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আইএসআইও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর অন্য দুটি শাখা লন্ডন ও ব্রাসেলসে।
একজন সাক্ষী মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, কেএসি আইএসআইয়ের সৃষ্টি এবং কাশ্মীর বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারণা চালায়। মার্কিন বিচার বিভাগ দাবি করে, সাক্ষীরা বলেছেন, কেএসি আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হওয়ার বিষয়টি গোপন ছিল। আইএসআইয়ের নির্দেশে ২৫ বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন গুলাম নবী। এ জন্য কেএসি ও গুলাম নবী পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে অন্তত ৪০ লাখ মার্কিন ডলার পেয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.