ভারতকে এশিয়ার নেতার ভূমিকা পালনের আহ্বান

এশিয়ায় নেতার ভূমিকা পালন করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ভারত সফররত হিলারি গতকাল বুধবার চেন্নাইয়ে এ আহ্বান জানান।
হিলারি বলেন, ‘এশিয়ার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্যই এই অঞ্চলে ভারতের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নেতৃত্ব গড়ে ওঠার ইতিবাচক পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছি, আপনারা এটা চালিয়ে যান।’ তিনি বলেন, ‘এখন একুশ শতকের সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রহণ করে উত্থানের সময়। এটা নেতৃত্ব দেওয়ার সময়।’
হিলারি বলেন, ভারতের উচিত আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করা। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সন্ত্রাসপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা পালন করতে পারে নয়াদিল্লি। এতে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হিলারি আরও বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করতে হলে ভারতকে নতুন দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
হিলারির বক্তব্যে এশিয়ায় শক্তিধর দেশ চীনের বিপরীতে সম্ভাব্য শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতকে দেখার আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত মেলে। বক্তব্যের একপর্যায়ে চীনের প্রসঙ্গও আনেন হিলারি। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে ‘শক্তিশালী গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও এশিয়ায় ভারতের নেতার ভূমিকা পালন করার সক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশ্লেষক। ওয়াশিংটনে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সদানন্দ ধুমে বলেন, ভারত তো প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার কতৃত্ববাদী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিন দিনের সফরে গত সোমবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেন হিলারি। রাতেই তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মঙ্গলবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে।

No comments

Powered by Blogger.