এ কী আচরণ সোয়ানের

বাংলাদেশের কাছে হেরে নানারকম অজুহাত খুঁজছেন ইংলিশ খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস গতকালই ম্যাচ উত্তর সংবাদ সম্মেলনে বারবারই সন্ধ্যার শিশিরের প্রসঙ্গ টেনে আনছিলেন। যেন শিশিরই সব নষ্টের মূলে। এই ‘শিশির’ ‘শিশির’ রবটা অবশ্য কাল প্রথম তুলেছেন ইংলিশ অফ-স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান। টেলিভিশনে যাঁরা খেলাটি দেখেছেন, তাঁরা বেশ ভালো ভাবেই ‘উপভোগ’ করেছেন গ্রায়েম সোয়ানের হতাশাটি। এক পর্যায়ে বল পরিবর্তন নিয়ে তো অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার ড্যারেল হার্পারের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় চলে গেলেন তিনি। বল পরিবর্তনে হার্পারকে বাধ্য করতে না পেরে মুখ দিয়ে ‘খিস্তি’ বর্ষণই করে ফেললেন। টেলিভিশন সম্প্রচার ও পিচ মাইক্রোফোনের কল্যাণে সোয়ানের সেই খিস্তি কানে চলে গেল বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ দর্শকের কানে। সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলেন, বিস্ময়ে বিমূঢ় হলেন ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ‘ভদ্রলোকেদের’ আচরণে।
ব্রিটিশ টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড নিখাঁদ ভালো মানুষ। আর তাই, সোয়ানের আচরণ তাঁকে লজ্জা দিয়েছে। টেলিভিশন ধারাভাষ্যের মাধ্যমে সব দর্শকদের কাছে তিনি সোয়ানের হয়ে ক্ষমা চাইলেন।
ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এটাকে সোয়ানের ‘হতাশা’ বলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে আম্পায়ার হার্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সময় তিনি সোয়ানকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সোয়ান রাগান্বিত হয়ে কি শব্দ উচ্চারণ করেছেন, তা তিনি শোনেন নি বলেই জানিয়েছেন।
আইসিসির আচরণবিধিতে এমন আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়েই পড়ে। কোনো খেলোয়াড় আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় গিয়েছেন-এমন দৃশ্য অনেকদিনই ক্রিকেটে কেউ দেখেনি। তবে, বিশ্বকাপের মঞ্চে কাল চট্টগ্রামের মাটিতে অনেকদিন পরই ক্রিকেট দেখল, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের অভব্যতা।

No comments

Powered by Blogger.