দেশীয় চিকিৎসাসেবা খাতকে সুরক্ষার দাবি

ওষুধের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে দেশীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা খাতকে সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
চিকিৎসা খাতে ব্যবহূত যন্ত্রপাতিকে মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে বিবেচনায় এর ওপর আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিপরীতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জন্য আমদানিকৃত আসবাবে শুল্ক বাড়ানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত চলমান প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি জানানো হয়েছে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালের পরিচালক এম এ মালেক চৌধুরী, হোমিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এস এ রহিম, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন, ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি মোহসীনা বেগম প্রমুখ। এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে এই আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়।
এম এ মালেক চৌধুরী জানান, ইনসুলিন ও ক্যানসার প্রতিরোধক প্রস্তুতকৃত ওষুধ আমদানিতে কোনো কর নেই। দেশীয় শিল্পকে রক্ষায় এসব ওষুধের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল চিকিৎসাসেবায় বিদ্যমান কর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার দাবি জানান এই খাতের উদ্যোক্তারা।
হোমিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এস এ রহিম জানান, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসেবায় ওষুধ ধারণের জন্য ব্যবহূত বোতল ও ড্রপার আমদানির ওপর সব মিলিয়ে ১৫১ শতাংশ কর রয়েছে, যা কমানো উচিত।
আমির হোসেন বলেন, অস্ত্রোপচারে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি দেশে তৈরি হয় না। তাই এসব যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য শুল্ক কমানো উচিত।
আলোচনায় আরও বলা হয়, স্থানীয় খাতকে সুবিধা দিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ব্যবহূত আসবাব আমদানিতে কর বাড়ানো দরকার। বর্তমানে এসব আসবাবে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এই হার ২৫ শতাংশে উন্নীত করা উচিত।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, চিকিৎসা খাতে ব্যবহূত কোন কোন যন্ত্রপাতি ও আসবাব স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এবং সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম—এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে শিগগিরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবে এনবিআর। কর ছাড়ের ইতিবাচক প্রভাব যেন সংশ্লিষ্ট খাতে পড়ে, এনবিআর তা নিশ্চিত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.