দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হচ্ছে ৯ জুলাই?

দক্ষিণ সুদানের ঐতিহাসিক গণভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্বাধীনতার পক্ষে ৯৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর ফলে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ সুদান ভেঙে আরেকটি স্বাধীন দেশের আত্মপ্রকাশ এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ইতিমধ্যে বলেছেন, তিনি গণভোটের ফলাফল মেনে নেবেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতি ঠিক থাকলে দক্ষিণ সুদান আগামী ৯ জুলাই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাব অনুসারে দক্ষিণ সুদান হবে বিশ্বের ১৯৫তম স্বাধীন দেশ। ইতিমধ্যে এর জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নির্ধারণ শেষ হয়েছে। তবে দেশ হিসেবে এর নাম কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।
মুসলমান অধ্যুষিত উত্তর ও খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদানের মধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসানের জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২০০৫ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুসারে এ বছর ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল গণভোট-সংক্রান্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৮টি। দক্ষিণ সুদানের ১০টি প্রদেশের মধ্যে তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণাঞ্চলীয় পাঁচটি প্রদেশে স্বাধীনতার পক্ষে পড়েছে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। আর পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঁচটি প্রদেশে স্বাধীনতার পক্ষে পড়েছে ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
গণভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের পরপরই দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবাতে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, কূটনীতিক ও সাধারণ জনতা স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা জন গ্রাংয়ের কবরের পাশে জড়ো হয়ে তাঁর জন্য প্রার্থনা করেন। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে শান্তিচুক্তির কয়েক দিনের মাথায় এই নেতা বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।

No comments

Powered by Blogger.