প্রোটিয়াদের আরেক অসুখ

দলের নাম যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন নানা ধরনের শব্দ তো তাদের আগে-পরে যোগ হবেই। এত দিন আসল সময়ে ‘চোক’ করে যাওয়ার একটা রোগ তাদের ঘিরে থাকত। সেই রোগ যে সেরে গেছে তা নয়। তবে এই বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে আরেকটি উপসর্গ যোগ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। প্রস্তুতির জন্য হোটেলের চার দেয়ালে বন্দী থেকে একধরনের আতঙ্কে ভুগছে তারা, যাকে বলা হয় ‘কেবিন ফিভার’—গৃহবন্দী-জ্বর!
দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতে পা রেখেছে সপ্তাহ দেড়েক আগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০১১ বিশ্বকাপ অভিযান যখন শুরু হবে, ভারতে প্রায় দুই সপ্তাহ থাকা হয়ে যাবে তাদের। অনুশীলন, হোটেল, আবার অনুশীলন—দুই সপ্তাহ ধরে এই একই রুটিন না আবার খেলোয়াড়দের হাঁপিয়ে তোলে, এই ভয় পেয়ে বসেছে প্রোটিয়াদের।
মরনে মরকেল অবশ্য একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন, ‘নিজেদের হোটেলে আবদ্ধ না করে রাখা এবং চার দেয়ালে বন্দী থেকে হাঁপিয়ে না পড়াটা জরুরি। এটা কাটাতে আমরা দেশটি ঘুরে দেখতে পারি।’ তবে ভারতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ঘুরে বেড়ানোটাও এক সমস্যা, মরকেল সেটাও জানেন, ‘বাইরে গেলে আবার নানা গুজব উঠবে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো এখানে ব্যাপারটা সহজ নয় যে বাইরে গেলাম আর একটা গাড়িতে চেপে বসলাম এবং যেখানে খুশি চলে গেলাম।’
মরকেল যে শুধু চার দেয়ালের বন্দিত্ব কাটানোর পরিকল্পনাই করছেন, তা নয়। ডেল স্টেইনের বোলিং সঙ্গী ভাবছেন মাঠের লড়াই নিয়েও। সবাই স্পিনারদের বিশ্বকাপ হবে ভাবলেও এবারের বিশ্বকাপে পেসাররাও কিছু করবে বলে বিশ্বাস মরকেলের, ‘আমাদের কাজটা খুবই কঠিন। কারণ, সব দলই প্রথম ১৫ ওভারকে টার্গেট করবে। এটা অবশ্য দুই রকমভাবেই কাজ করতে পারে। সবাই যদিও এটাকে স্পিনারদের বিশ্বকাপ হবে বলছে, তবু আমরাও কিছু উইকেট তুলে নিতে পারি। মানুষদের ভুল প্রমাণ করাটা হবে দারুণ ব্যাপার!’

No comments

Powered by Blogger.