ভিয়ারও স্বস্তির নিঃশ্বাস

খনিশ্রমিক তাঁদের কয়েক প্রজন্ম ধরে। সর্বশেষ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর বাবা কাজ করতেন কয়লাখনিতে, সেই সুবাদে ডেভিড ভিয়াদের বসবাস ছিল খনিশ্রমিকদের সঙ্গেই। স্পেনের আস্তুরিয়াস প্রদেশের উত্তরাঞ্চল তুইল্লা তাঁদের পিতৃভূমি। খনির অতলে নেমে কাজ করার অনিশ্চয়তাটা তাঁর জানা। তাই খনিশ্রমিকদের দুঃখ তাঁকে কাঁদায়, মুক্তির আনন্দ হাসি ফোটায় মুখে। চিলির ৩৩ জন খনিশ্রমিকের মুক্তির আনন্দ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভিয়াকেও, ‘খুব অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় কাটছিল আমার। তবে আশা ছিল সবকিছুই ভালোয় ভালোয় শেষ হবে। কেননা উদ্ধারকাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি নিখুঁত মনে হচ্ছিল। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে সব সময়ই জটিলতা দেখা দিতে পারে। আমি খুশি যে সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে। সবাই এখন ওপরে এসে নিঃশ্বাস ফেলছেন।’
মুক্তির আনন্দটা আরও রাঙিয়ে দিতেই উদ্ধার করা ৩৩ জন খনিশ্রমিককে নিয়ে ২৫ অক্টোবর এক ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। চিলির রাষ্ট্রপতি সেবাস্তিয়ান পিনেরাই দিয়েছেন এই খবর। ‘ম্যাচের জয়ীরা যাবেন লা মোনেডায় (রাষ্ট্রপতির বাসভবন) এবং পরাজিতদের হতাশ মনে ফিরে যেতে হবে খনিতে!’—কৌতুক করেছেন পিনেরা। আটকে পড়া খনিশ্রমিকদের একজন, ১৯৯০ দশক পর্যন্ত চিলিতে পেশাদার ফুটবল খেলা ফ্রাঙ্ক লোবোস নেতৃত্ব দেবেন খনিশ্রমিক দলের। চিলির আটাকামা মরুভূমির এই খনির নিচে সেই ৫ আগস্ট থেকে আটকে থাকা মানুষগুলোর সঙ্গে ফুটবলের যোগাযোগটা তো তাহলে ভালোই। স্পেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভিয়া নিজের স্বাক্ষর করা দুটো বার্সেলোনা শার্ট ওই শ্রমিকদের উপহার দিয়ে ফুটবলের শক্তিটাকেও তুলে ধরেছেন।

No comments

Powered by Blogger.