আইসিসিও নামাচ্ছে ছদ্মবেশী এজেন্ট

সত্যিই তাহলে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে আইসিসি! ছদ্মবেশী সাংবাদিক ব্যবহার করে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল পত্রিকাটি। এবার আইসিসি পরিকল্পনা করছে, ক্রিকেটে দুর্নীতি ঠেকাতে তারাও মাঠে নামাবে ছদ্মবেশী এজেন্ট।
পরিকল্পনাটা এখনো বিবেচনাধীন। তবে অনুমোদিত হলে আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু বিশ্বকাপেই এটির প্রয়োগ হতে পারে। বাজিকর সেজে খেলোয়াড়দের ফোন দেওয়ার জন্য এমন ছদ্মবেশী এজেন্ট নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আইসিসির আগামী বৈঠকেই আলোচনা হবে। সে রকমই জানিয়েছেন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, ‘আমরা আমাদের মতো করে খেলোয়াড়দের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছি। দেখতে চাইছি তারা এ নিয়ে রিপোর্ট করে কিনা। আমরা আসলে একটু ব্যতিক্রমীভাবে ভাবতে চাইছি।’
আইসিসির এই প্রস্তাবিত ছদ্মবেশীরা বাজিকর সেজে ফোন করবেন বিভিন্ন খেলোয়াড়কে। ফোনে তাঁদের ম্যাচ পাতানোর, স্পট ফিক্সিং করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। আইসিসি দেখতে চায়, এই ধরনের ফোনে কোন খেলোয়াড় কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান। এই দেখার ব্যাপার তো থাকছেই। সঙ্গে ফোন পাওয়া খেলোয়াড়টি নিয়মমতো আইসিসিকে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে জানান কি না, তাও দেখতে চায় আইসিসি। না জানালেই শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হবে বলে ভাবছে আইসিসি।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন অনুযায়ী এই ধরনের প্রস্তাবের কথা সঠিক কর্তৃপক্ষকে না জানানো হলে সতর্ক করে দেওয়া, জরিমানা করা থেকে শুরু করে নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
আইসিসির এমন পদক্ষেপ রোমাঞ্চপ্রিয়দের পছন্দ হতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটাররা, অন্তত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) পরিষ্কার বিরোধিতা করছে এই পদক্ষেপের। এসিএর প্রধান নির্বাহী পল মার্শ বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ‘অযৌক্তিক’ ও ‘বেআইনি’।
মার্শ বলছেন, তাঁরা এখনো নিশ্চিত নন, শুধু খেলোয়াড় ‘ধরা’র জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না। তাঁরা আইসিসির কাছে এ ব্যাপারে পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাইবেন। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা যা-ই হোক, এমন কিছু হলে সেটা ক্রিকেটারদের জন্য ক্ষতিকর হবে বলেই ধারণা মার্শের, ‘এটা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ক্রিকেট থেকে তাদের মনোযোগটাও এতে সরে যাবে।’

No comments

Powered by Blogger.