ঘৃণার সঙ্গে সহানুভূতিও পাচ্ছেন আমির

বয়স মাত্র ১৮ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন এক বছর ধরে। অল্প দিনেই মোহাম্মদ আমির হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানের নতুন দিনের প্রতীক। ‘নতুন ওয়াসিম আকরাম’ বলেও পরিচিতি পেয়ে গেছেন তিনি। অথচ সেই আমির এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের কলঙ্কের প্রতীক! স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে চারদিকে ঘৃণা আর ধিক্কার। দাবি উঠেছে, আমিরসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চিরদিনের মতো নিষিদ্ধ করার। তবে ঘৃণার পাশাপাশি সহানুভূতিও পাচ্ছেন পাকিস্তানের এই তরুণ ফাস্ট বোলার।
২০০৭ জুলাই থেকে ২০০৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তান দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জিওফ লসন। তাঁর আমলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি আমিরের। তবে আমিরকে আগে থেকেই চিনতেন পাকিস্তানের সাবেক এই অস্ট্রেলীয় কোচ। মেলবোর্নে দি এজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লসন বলছেন, ‘আমি প্রথম যখন আমিরকে দেখি, তখন তার বয়স মাত্র ১৬। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে এসেছিল এই বোলার। সোয়াত উপত্যকার একটি ছোট গ্রামে থাকত সে। তালেবানরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে ক্যাম্পে আসতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়েছিল আমিরের।’ পাকিস্তানের তরুণ এই বোলারের প্রশংসাও করেছেন, ‘আমিরের একটি বিষয় আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছিল, খেলার প্রতি প্রচণ্ড টান। সারাক্ষণ হাসি-খুশি থাকত সে। তার সেই খেলার প্রতি টান, আগ্রহ এখনো আছে।’
এরপর আমিরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে লসন বলেন, ‘কোনো ধরনের ম্যাচ ফিক্সিংকেই আমি সমর্থন করতে পারি না। তবে একজন ক্রিকেটারের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও মূল্যায়ন করতে হবে। অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করার মানসিকতা কোনো ক্রিকেটারের থাকা উচিত নয়। তবে যদি এমন হয় যে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, একটি জেনারেটর কেনার জন্য সে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে—তাহলে বিচারের মুখোমুখি করার আগে সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.