রপ্তানি-আয়ে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত

জানুয়ারি মাসে রপ্তানি-আয় কিছুটা বাড়লেও সার্বিকভাবে চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি-আয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সদ্য প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়কালে দেশে পণ্য রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে চার শতাংশের বেশি কমেছে।
আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের প্রকৃত রপ্তানি-আয় এই সময়ের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ কম।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৮৭০ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যেখানে এই সময়কালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৯১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এতে আরও দেখা যায়, শুধু জানুয়ারি মাসে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১৪২ কোটি ৬২ লাখ ডলার, যা গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় সাড়ে তিন শতাংশ বেশি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক, নিট পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া, পাদুকা ও হোম টেক্সটাইল একদিকে যেমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি, অন্যদিকে তেমনি গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের চেয়ে কম আয় করেছে।
জুলাই-জানুয়ারি সময়কালে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাত শতাংশ ও আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩১৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাত শতাংশ এবং এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ কম।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চামড়া ও পাদুকা রপ্তানি-আয় দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১১ কোটি ডলার ও ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে দশমিক ৯০ শতাংশ ও আড়াই শতাংশ কম।
এ ছাড়া আলোচ্য বছরের সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চামড়া ও পাদুকা রপ্তানি-আয় ছিল যথাক্রমে প্রায় সাড়ে ১১ ও সাড়ে ১০ শতাংশ কম।
এই সময়কালে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৫ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন শতাংশ কম।
অন্যদিকে কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি শুধু আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়নি, বরং চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে।
আলোচ্য সময়কালে কাঁচাপাট ও পাটজাত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার ও আট কোটি ডলার। এই দুই পণ্য রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যথাক্রমে ৪৮ ও ৩৮ শতাংশ এবং এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যথাক্রমে ৪৪ ও ২৭ শতাংশ হারে বেশি।

No comments

Powered by Blogger.