দুর্নীতির ধারণাসূচক -অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে by ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কর্তৃক ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০০৯ করাপশন পারসেপশন ইন্ডেক্স বা সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশ এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত মোট ১৮০টি দেশের মধ্যে মাত্র নয়টি দেশের মধ্যে অন্যতম, যারা গতবারের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ সূচকের ০-১০-এর স্কেলে ২ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে তালিকার নিম্নক্রম অনুযায়ী ত্রয়োদশ স্থান পেয়েছে, যা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩৯তম। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দশম ও ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৭তম এবং স্কোর ছিল ২ দশমিক ১। এক বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৩ পয়েন্টের অগ্রগতিকে সূচক প্রণয়নকারীদের পক্ষ থেকে ইতিবাচকভাবে লক্ষণীয় বলা হয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি আর যে দেশগুলোতে অনুরূপ অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো হলো বেলারুশ, গুয়াতেমালা, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, মন্টেনিগ্রো, পোল্যান্ড, সিরিয়া ও টোঙ্গা।
বাংলাদেশের সঙ্গে সমান স্কোর অর্থাত্ ২ দশমিক ৪ পয়েন্ট পেয়ে একই অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, বেলারুশ ও ফিলিপাইন। উল্লেখ্য, শুধু ভারত ব্যতীত দক্ষিণ এশিয়ার বাকি ছয়টি দেশেই ২০০৮ সালের তুলনায় এবারের স্কোর ও অবস্থান উভয় মাপকাঠিতেই নিম্নগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভারতের বেলায় স্কোর গত বছরের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের তুলনায় ভারত, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার স্কোর এখনো বেশি, যথাক্রমে ৩ দশমিক ৪, ২ দশমিক ৫, ৫ দশমিক শূন্য ও ৩ দশমিক ১।
বিগত দুই বছরের মতো এ বছরের তালিকায় সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে সোমালিয়া। নিম্নক্রম অনুসারে দ্বিতীয় স্থানে আফগানিস্তান, তৃতীয় মিয়ানমার এবং চতুর্থ স্থানে যৌথভাবে ইরাক ও সুদান। বস্তুত তালিকার নিম্নতম স্থানগুলোতে কোনো পরিবর্তন হয়নি, যেমনটি হয়নি সর্বোচ্চ স্কোর পাওয়া দেশগুলোর বেলায়। ৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে গতবারের মতো নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় ৯ দশমিক ৩ পেয়ে ডেনমার্ক ও ৯ দশমিক ২ পেয়ে যৌথভাবে ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে সুইডেনের সঙ্গে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, যারা সূচকটি প্রণয়নের প্রায় শুরু থেকেই একমাত্র এশীয় দেশ হিসেব পৃথিবীর সবচেয়ে কম দুর্নীতিতে প্রভাবিত দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে।
স্মরণ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থানের পর ২০০৬-এ তৃতীয়, ২০০৭-এ সপ্তম ও ২০০৮-এ দশম অবস্থানে ছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্কোর দুইয়ের অধিকে উন্নীত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের অর্জন অবশ্যই সুসংবাদ, যদিও সূচক অনুযায়ী ০-১০ স্কেলে ৩ বা তার কম স্কোর পাওয়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এখনো দুর্নীতির প্রভাব ব্যাপক ও গভীর হিসেবেই বিবেচিত। তাই এবারের এই অগ্রগতি একদিকে যেমন আমাদের উত্সাহিত করে, তেমনি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে কি না এবং সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, তাও গভীরভাবে ভাবতে হবে।
এবারের সূচকটি ২০০৮ ও ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সূচকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক (২০০৭-০৮) ব্যাপক দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইনগত সংস্কারের ফলে সম্ভাব্য পরিবর্তনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তা ছাড়া ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের অঙ্গীকার এবং বিগত সরকারের বেশ কিছু সংস্কার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার প্রভাবও এ সূচকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়িত হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি স্থায়ী হওয়া না-হওয়া এবং আরও অগ্রগতি হবে কি না, তা নির্ভর করছে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর।
কমপক্ষে ডজন-খানেক সুস্পষ্ট নীতিমালার উল্লেখ পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারে, যার বাস্তবায়ন বাংলাদেশে দুর্নীতিকে কার্যকর ও স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট। সরকার গঠনের পর সর্বোচ্চ পর্যায়সহ সার্বিকভাবে প্রতিশ্রুতিগুলো মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে পুনর্ব্যক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রচিত হয়েছে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতার আশঙ্কা। দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠনের পরিণতিতে কমিশন যদি তার স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়, তা হবে ভবিষ্যত্ সূচকের নিম্নমুখী গতির সঞ্চালক। দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক স্থানীয় সরকারের বাস্তব ক্ষমতায়নে ব্যর্থতা একই পরিণতি বয়ে আনবে।
তথ্য অধিকার আইনের মতো দুর্নীতি প্রতিরোধে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টিকারী আইনটি সংসদে অনুমোদনের মাধ্যমে সরকার জনগণের প্রতি অঙ্গীকার পূরণের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষে নবগঠিত তথ্য অধিকার কমিশনকে স্বাধীন ও সক্রিয়তার সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করার পরিবেশ সৃষ্টি করা যেমন অপরিহার্য, তেমনি গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে উন্মত্ততার সংস্কৃতিতে উত্তরণে প্রয়োজন আবশ্যক সুনির্দিষ্ট কৌশল প্রণয়ন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা তাঁদের সমর্থনপুষ্ট ব্যক্তিরা যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ে টেন্ডারবাজি, নদী-বনাঞ্চল-ভূমি দখল, টোলবাজিসহ আইনের শাসন-পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, তাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে অপরিহার্য প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি ক্রমান্বয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হওয়ার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে সরকারি ক্রয় খাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সম্প্রতি প্রবর্তিত নীতিমালার সংস্কার কোনো অবস্থায়ই সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে না।
দুর্নীতিকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতি, তা যে পর্যায়েই ঘটুক না কেন, কারও প্রতি কোনো প্রকার ভয় বা করুণা না করে, সব ধরনের দলীয় বা রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্ব থেকে তার বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগ ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
দুর্নীতির বিচার হতে হবে, তবে তা যেন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ায় হয়, আইনের সুষ্ঠু ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে হয়। বিশেষ করে আইন প্রয়োগে আদালতকে কোনো অবস্থায়ই প্রভাবিত না করা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। দুর্নীতিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে তখনই সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে, যখন বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তখনই সুফল আনবে, যখন এই বিভাগে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা, পেশাগত উত্কর্ষতা ও সততার সঙ্গে কার্য পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
জাতীয় সংসদকে কার্যকর করা যেকোনো সংসদীয় গণতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। নবম সংসদ দুর্নীতি ও কালো টাকার প্রভাবের বিরুদ্ধে এবং এই অপশক্তিকে পরাজিত করার পক্ষে জাতীয় রায়কে কার্যকর করার লক্ষে শুভ সূচনা করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটিগুলো গঠিত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। বেশ কিছু কমিটি তুলনামূলকভাবে সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় হাত দিয়েছে। এই সূচনার ধারাবাহিকতায়, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় হিসাব রক্ষা কমিটি ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলো যাতে কার্যকরভাবে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে, তার দায়িত্ব চূড়ান্ত বিবেচনায় নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপরই ন্যস্ত। সাবেক স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণে সংসদ যে রকম উত্সাহ দেখিয়েছে, একই ধরনের উদ্যোগ থাকতে হবে পরবর্তী সময়ে দল-মতনির্বিশেষে সব দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে জনপ্রশাসন তথা সরকারি কর্মকর্তারা। পৃথিবীর যেসব দেশে সাফল্যের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে, সেসব দেশে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশাসনকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব দূর করা অপরিহার্য। সরকার পরিবর্তনের পর এ ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যদি যথার্থ হয়ে থাকে, তবে উত্সাহিত হওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই। অন্যদিকে জনপ্রশাসনে বেতন-ভাতার যথার্থতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত না করে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যাশা করাও অমূলক। যেসব কারণে প্রশাসনে দুর্নীতি হয়, তার অন্যতম হচ্ছে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার বাস্তব বর্জিত চিত্র। বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারি খাতের বেতন কাঠামোর কিছুটা পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, এটা আশাব্যঞ্জক। তবে শুধু বেতন বৃদ্ধি করে প্রশাসনে স্বচ্ছতার প্রণোদনা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, এটা ভাবা অমূলক। সরকারি খাতের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে, বিভাগে ও মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে নির্ভেজাল প্রক্রিয়ার বাস্তবায়নযোগ্য নৈতিক আচরণবিধি, যার স্খলন ঘটলে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রকার প্রণোদনার সমন্বয়ে কেবল প্রশাসনে কার্যকর পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
দুর্নীতি প্রতিরোধে বেসরকারি খাতের ভূমিকাও অপরিসীম। সরকারি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ কখনোই সম্ভব হবে না, যদি বেসরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব না হয়। এ ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ও বহুজাতিকসহ বেসরকারি খাতে কর্মরত সব প্রতিষ্ঠানেই সততা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত করা অপরিহার্য।
দুর্নীতি প্রতিরোধে একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যেকোনো দেশের গণমাধ্যম, যার সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যতম পূর্বশর্ত তথ্যপ্রবাহের অবাধ স্বাধীনতা। তথ্যর স্বাধীনতা একদিকে যেমন গণমাধ্যমের জন্য অপরিহার্য, অন্যদিকে অবাধ তথ্যপ্রবাহই নিশ্চিত করতে পারে স্বচ্ছতা ও গঠনমূলক সমালোচনা উত্সাহিত করার মাধ্যমে জবাবদিহির সংস্কৃতি, যার ব্যতিরেকে কোনো প্রকার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানই পূর্ণতা লাভ করতে পারে না।
বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা বিবেচনায় মেনে নিতেই হবে, এর কার্যকর ও স্থায়ী সমাধান স্বল্প মেয়াদে বা শুধু ক্ষেত্রবিশেষের ওপর নির্ভর করে অর্জন করা অসম্ভব। প্রয়োজন সুচিন্তিত ও বহুমুখী কৌশল এবং তার বাস্তবায়নে সদিচ্ছার সুনির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত। এর অভাবে দুর্নীতির ধারণাসূচকে এবারের অর্জিত অগ্রগতি অব্যাহত রাখা যেমন অসম্ভব হবে, তেমনি গগনচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে যারা দুর্নীতি প্রতিরোধের পক্ষে রায় দিয়েছেন, একইভাবে তাঁরা আবার শিগগিরই নিরাশ হবেন। তবে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এটি চাইবেন না, জনগণ এ প্রত্যাশাই করে।
ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

No comments

Powered by Blogger.