ফুটবল ম্যাচ নাকি যুদ্ধ

আনমনা হয়ে সুদানের আল মেরিখ স্টেডিয়াম এলাকায় ঢুকে পড়লে হঠাত্ আঁতকে উঠতে পারেন। মনে হতে পারে, স্টেডিয়ামে না ঢুকে পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে পড়েছেন ভুল করে। স্টেডিয়ামজুড়ে যে থাকবে পুলিশ আর পুলিশ। এত পুলিশ মোতায়েনের কারণ একটাই—আজ সুদানের এই স্টেডিয়ামে আলজেরিয়া-মিসর প্লে-অফ। নিরাপত্তার এই মহাযজ্ঞ দেখে কেউ বলে উঠতেই পারেন, ‘ফুটবল ম্যাচ, নাকি যুদ্ধ!’ তাহলে তাঁকে দোষ দেওয়াও যাবে না।
এই ম্যাচকে ঘিরে এমন যুদ্ধের আবহ ছড়িয়ে পড়ার কারণ গত শনিবার মিসরের কায়রোতে দুই দলের শেষ গ্রুপ ম্যাচটির আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে একদল মিসরীয় সমর্থক ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা করেছিল আলজেরিয়া দলের ওপর। এতে পাঁচজন খেলোয়াড়ও আহত হয়েছিলেন। এরপর ম্যাচটিতে আলজেরিয়া ০-২ গোলে হেরে গেলে মিসরে খেলা দেখতে যাওয়া আলজেরীয়রা ভাঙচুর করে মিসরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এর জের আজও থাকবে বলেই আশঙ্কা।
ম্যাচটিতে আলজেরিয়া ০-২ গোলে হারায় দুই দলের পয়েন্ট এবং গোল-ব্যবধান সমান হয়ে গেছে। তাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হচ্ছে এই প্লে-অফ। সুদানের বিশ্বকাপ-আশা সেই কবেই তো শেষ। তবে এই ম্যাচের কারণে সুদানের লোকেরা আবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের উত্তেজনায় কাঁপছে।
কোনো অঘটন এড়াতে নিয়ে রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ৪১ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে ৩৫ হাজারের বেশি দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে না। আলজেরিয়া আর মিসর থেকে আসা লোকদের অনেকেই তাই স্টেডিয়ামের বাইরে বড় পর্দায় খেলা দেখবেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে থাকবে বাড়তি পুলিশ। স্টেডিয়াম আর বাইরে সব মিলিয়ে এই ম্যাচের জন্য প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ থাকবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্বে।

No comments

Powered by Blogger.