মরক্কোতে পৌনে ৫ হাজার কারাবন্দীর সাজা মাফ

সিংহাসনে বসার ২০তম বার্ষিকীতে প্রায় পৌনে পাঁচ হাজার কারাবন্দীর সাজা মওকুফ করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০১৬ সালে দেশটিতে আলোচিত ‘হিরক’ আন্দোলনকারীদের কিছু সংখ্যকও আছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজকীয় বার্ষিকীর একেবারে শেষ মুহূর্তে এক রাষ্ট্রীয় আদেশে চার হাজার ৭৬৪ জন বন্দীর সাজা মাফ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক মাসব্যাপী আন্দোলনের সময় আটকরাও রয়েছেন।

এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি মরক্কো কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ২০১৬ সালে একজন জেলের মৃত্যুর ঘটনাকের কেন্দ্র করে দেশটিতে ‘আল-হিরক আল-শাবি’ বা ‘জনপ্রিয় আন্দোলন’ শুরু হয়। পরবর্তীতে এটি অধিক উন্নয়ন এবং দুর্নীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলন হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

ঐ সময় চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদেরকে বিচারের আওয়াতায় আনা হয় আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে। যদিও সরকারিভাবে এই সংখা প্রকাশ করা হয়নি। এর মধ্যে ২৫০ জনকে এর আগে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার রাতে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ মরক্কোর বিভিন্ন অংশে বৈষম্য ঠেকাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নতুন মুখ আনার অঙ্গীকার করেন।

৫৫ বছর বয়সী এই রাজা দেশটির তেতুয়ানের উত্তর শহরে তাঁর প্রাসাদে এক বক্তৃতায় অবকাঠামো ও স্বাধীনতায় উন্নতিকে স্বাগত জানান। কিন্তু তিনি বলেন, ‘প্রচেষ্টার যথাযথ প্রভাব পড়েনি।’ ১৯৯৯ সালে তাঁর বাবা রাজা দ্বিতীয় হাছানের স্থলাভিষিক্ত হন ষষ্ঠ মোহাম্মদ।
২০১১ সালে এক গণভোটে মরক্কোতে নতুন সংবিধান প্রণীত হয়, যা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে।

তারপরও দেশটির রাজা সবক্ষেত্রে সর্বেসর্বা রয়ে যান। সংবিধান অনুসারে তিনি রাষ্ট্রের প্রধান, সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং দেশটির ইসলামিক কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ পদধারী। এছাড়াও দেশটির মূল মূল অর্থনৈতিক খাতের ক্ষমতা রাজার হাতে।

No comments

Powered by Blogger.