চীনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধজাহাজ কিনবে ভারত

ভারত তাদের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জন্য যুদ্ধজাহাজ ও সহায়তা নৌযান কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি সরকার  সাতটি শিপইয়ার্ডের কাছে ১৫০ বিলিয়ন রুপির ছয়টি মিসাইল জাহাজ এবং অন্যান্য ছোট নৌযান কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এই দরপত্রের মধ্যে রয়েছে আটটি দ্রুতগতির টহল নৌযান, ১২টি হাভারক্রাফঠ এবং আটটি মিসাইল-কাম-অ্যামিউনিশান বার্জ।
যে সব শিপইয়ার্ডকে দরপত্র দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইভেট শিপইয়ার্ড লার্সেন অ্যান্ড ট্যুবরো লিমিটেড এবং রিলায়েন্স নেভাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সেই সাথে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব মাজাগন ডক শিপইয়ার্ড লিমিটেড, গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেড, হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
নৌসীমায় প্রতিবেশী চীনের সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলায় মোদি সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য যে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা নিয়েছেন, এই দরপত্র তারই অংশ। বেইজিং এর আগে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। দৃশ্যত তাদের তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা দিতেই তারা এই জাহাজগুলো পাঠিয়েছে।
নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই এই শিপইয়ার্ডগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যাদের মিসাইল যুদ্ধজাহাজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আর্থিক শর্তাদিও যুক্তিগ্রাহ্য করা হয়েছে যাতে বেশি সংখ্যাক প্রতিযোগী এতে অংশ নিতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উপরোক্ত প্রস্তাবের সাথে সাথে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কিছু জাহাজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হবে”।
২০ জুন দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো সামরিক টেন্ডার আহ্বান করে। এতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ৪৫০ বিলিয়ন রুপি ব্যায়ে ছয়টি সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী ২০২৭ সালের মধ্যে ২০০টি যুদ্ধজাহাজের বহর গড়ে তুলতে চায়। বর্তমানে তাদের মাত্র ১৪০টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। ভারতীয় কোস্টগার্ডও ২০২২ সালের মধ্যে ২০০টি নৌযান পেতে চায়, তাদের ঘাটতি রয়েছে ৩৫টি জাহাজ।

No comments

Powered by Blogger.