নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ‘ঘুষ’ পাঠালো ১১ বছরের শিশু

নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডর্নকে পাঁচ নিউজিল্যান্ড ডলার ‘ঘুষ’ পাঠিয়েছে এক ১১ বছর বয়সী মেয়ে শিশু। এক চিঠির সঙ্গে ওই অর্থ পাঠায় ভিক্টোরিয়া নামের এক শিশু। চিঠিতে সে প্রস্তাব দেয়, নিউজিল্যান্ড সরকার যেন ড্রাগন নিয়ে গবেষণা করে। তবে এক পাল্টা মিষ্টি ভাষ্য চিঠিতে তার ঘুষের অর্থ তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন আরডর্ন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, নিজের চিঠিতে ভিক্টোরিয়া আরডর্নের কাছে ড্রাগন প্রশিক্ষক হতে টেলিকেনেটিক শক্তি চেয়েছিল। এর জন্য চিঠির খামে ঘুষ হিসেবে পাঁচ নিউজিল্যান্ড ডলারও পাঠায় সে। উল্লেখ্য, টেলিকেনেটিক শক্তি হচ্ছে, একধরনের কথিত মানসিক ক্ষমতা, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্পর্শ ছাড়াই তার আশপাশের পার্থিব কোনো বস্তুকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভিক্টোরিয়াকে হতাশ করে তার চিঠির জবাব দিয়েছেন আরডর্ন। সরকারি খামে পাঠানো লেখা এক চিঠিতে তিনি ভিক্টোরিয়াকে লিখেছেন, তার প্রশাসন বর্তমানে মনোবিদ্যা বা ড্রাগন নিয়ে কোনো কাজ করছে না।
তবে চিঠিতে নিজ হাতে আরও লিখে দিয়েছে, পুনশ্চঃ ওই ড্রাগনগুলো সম্পর্কে আমি খোঁজ রাখবো! তারা কি স্যুট পড়ে?
আরডর্ন ও ভিক্টোরিয়ার মধ্যকার এই চিঠি বদলের ঘটনা প্রথম জানা যায় ওয়েব ফোরাম রেডিটের মাধ্যমে। সেখানে এক রেডিট ব্যবহারকারী দাবি করেন, তার ছোটবোন আরডর্নকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, আমার ছোটবোন জানতে চেয়েছিল, নিউজিল্যান্ড সরকার ড্রাগন সম্পর্কে কী কী জানে ও তারা কোনো ড্রাগনের খোঁজ পেয়েছে কি না! পেলে যেন তাকে সেগুলো প্রশিক্ষণের জন্য দেয়।
পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, ৩০শে এপ্রিল চিঠিটির জবাব দিয়েছেন আরডর্ন।
তিনি তার চিঠিতে লিখেন, আমরা ড্রাগন ও মনোবিদ্যা নিয়ে তোমার পরামর্শ পড়তে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপাতত আমরা এই খাতগুলোতে কোনো কাজ করছি না। তাই, আমি তোমাকে তোমার ঘুষের অর্থ ফেরত পাঠাচ্ছি। টেলেকিনেসিস, টেলিপ্যাথি ও ড্রাগন নিয়ে তোমার অনুসন্ধানে আমার শুভ কামনা রইলো।

No comments

Powered by Blogger.