সামরিক-বেসামরিক, বিচার বিভাগের সম্পর্ক নিয়ে উন্মুক্ত বিতর্কের আহ্বান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

বেসামরিক-সামরিক সম্পর্ক, বিচার বিভাগের ভূমিকা, স্বচ্ছতা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কি হবে তা নির্ধারণের জন্য জাতীয় বিতর্ক আহ্বান করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী। যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নেতৃত্বাধীন ও ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) সরকার তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে যাচ্ছে তখন এমন মন্তব্য করলেন আব্বাসী। সোমবার তিনি অর্থমন্ত্রী ড. মিফতাহ ইসমাইলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আব্বাসী বলেন, যখন নির্বাহী বিভাগের কাজে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ করে, সরকারি কাজে জাতীয় জবাবদিহিতামূলক ব্যুরো নাক গলায় তখন কোনো সরকারই কাজ করতে পারে না। পারফরম করতে পারে না। তাই এ ইস্যুতে একটি জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাতে বিচার বিভাগের ভূমিকা, জাতীয় জবাবদিহিতামূলক ব্যুরোর ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক করা যেতে পারে। আর এটা হতে হবে আগামী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে, যাতে সেই সরকার তার ক্ষমতা সম্পর্কে সজাগ থাকে। শাহিদ খাকান আব্বাসী বলেন, বিচার বিভাগীয় একটি সিদ্ধান্তে যখন হাজার হাজার কোটি রুপির ক্ষতি হয় তখন এর জন্য কাকে দায়ী করা হবে। যদি জবাবদিহিতামূলক ব্যুরো সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে পঙ্গু করে রাখে এবং কোনো সরকারই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তখন তার জন্য জবাব দেবে কে। তিনি আরো বলেন, বেসামরিক ও সামরিক সম্পর্ক নিয়েও হতে পারে একটি জাতীয় সংলাপ। দেশ এভাবে চলতে পারে না। এতে সরকার পারফরম করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, জনগণ তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে পাঁচ বছর আগে। সেই ভোটের মূল্য বজায় রেখে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আব্বাসী। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় দেশের ও সরকারের পারফরমেন্সের ওপর একটি বিপর্যয়কর প্রভাব পড়েছে। ২০১৪ সালের অবস্থান ধর্মঘট, পানামা পেপারস নিয়ে রায়, সুপ্রিম কোর্টের ২রা জুলাইয়ের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে বরখাস্ত করায় দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। তা নাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকতো। আর্থিক ক্ষতি থাকতো সীমাবদ্ধ। উল্লেখ্য, প্রায় দু’মাসের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫শে জুলাই।

No comments

Powered by Blogger.