ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপে সৌদি সেনাবাহিনী

ইউনেসকো’র বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত সোকোত্রা দ্বীপ
ইয়েমেনের সোকাত্রা দ্বীপে পৌঁছেছে সৌদি আরবের সেনাবাহিনী। ইয়েমেনি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা দ্বীপটি দখল করলে ইয়েমেনের বৈধ সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রিয়াদকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সৌদি সামরিক জোটের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আরব নিউজ।
কৌশলগত কারণে সোকোত্রা দ্বীপটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। তবে এ মাসের গোড়ার দিকে আমিরাতি বাহিনী সেখানকার সমুদ্র ও বন্দর এলাকার দখল নিলে ক্ষুব্ধ হয় ইয়েমেন।
ইরানপন্থী শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইয়েমেনকে সহায়তা করেছে আমিরাত। ফলে দুই দেশের মধ্যে মিত্রতা তৈরি হয়েছিল। তবে নিজ দেশের ভূখণ্ড দখল করে নেওয়ার পর ইয়েমেন সরকারের একজন কর্মকর্তা বলছেন, সোকোত্রায় আমিরাত যা করছে তা আগ্রাসন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলটিতে চারটি সামরিক বিমান এবং শতাধিক আমিরাতি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি তারা ইয়েমেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও অঞ্চলটি ত্যাগে বাধা দিয়েছে। তখনই এ ইস্যুতে তদন্ত দল পাঠানোর ঘোষণা দেয়ে আমিরাতের মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। সর্বশেষ রবিবার রিয়াদ নিজেই সেখানে সামরিক উপস্থিতির জানান দিলো, যা আমিরাতের ‘আগ্রাসনের’ বিপরীতে  এক ধরনের সৌদি চপেটাঘাত।
ইউনেসকো’র বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত সোকোত্রা দ্বীপে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে যুদ্ধ বিমান ও বড় সামরিক যান চলাচলের মতো তিন হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। দ্বীপটি সোমালিল্যান্ড উপকূলের কাছাকাছি অবস্থিত। সম্প্রতি সোমালিল্যান্ডে একটি বাণিজ্যিক বন্দর স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগ করেছে আমিরাত। এর মধ্যেই এ মাসের গোড়ার দিকে তারা ইয়েমেনের দ্বীপটি দখল করে নেয়। সেখানকার সরকারি ভবনগুলোতে তারা আমিরাতের পতাকা ও দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি টানিয়ে দেয়। সূত্র: আরব নিউজ, আল জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.