শিল্পীর তুলিতে দোলনা থেকে চিতা

ভারতের জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হত্যা দিবস ছিল মঙ্গলবার। মহাত্মা গান্ধী নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে নামের এক ঘাতকের গুলিতে বিদ্ধ হয় তার বুক ও মাথা। দিল্লির রাজঘাটে রয়েছে তার স্মৃতিস্তম্ভ। গান্ধীকে স্মরণে এদিন সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গান্ধীর ৭০তম হত্যা দিবসকে আরও স্মরণীয় করতে তার অহিংস জীবনকে রঙের তুলিতে রাঙিয়ে তুলেছেন ইতিহাসবিদ সুমাথি রামস্বামী। জন্মের পর দোলনা থেকে চিতায় ওঠা পর্যন্ত তার জীবনচক্র ফুটিয়ে তুলেছেন রঙের কালিতে। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্ম। গুজরাটের ভবননগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের পছন্দে কস্তুরভা মাখাঞ্জিকে বিয়ে করেন গান্ধী। কলেজজীবন শেষে পরিবারের ইচ্ছায় ১৮৮৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। সেখান থেকেই নিরামিষভোজী জীবন শুরু করেন। যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার গণঅধিকার আন্দোলনে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীর অস্ত্র ছিল অসহযোগ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ। স্বদেশি আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিল তার প্রধান ভূমিকা। গান্ধীকে হত্যার তিনটি চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দিল্লির বিরলা হাউসে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের এ চিত্র ক্যামেরায় বন্দি না থাকায় কাল্পনিকভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন রামস্বামী। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা গান্ধীকে শোকগাথায় স্মরণ করেন ভারতীয়রা ছবি : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

No comments

Powered by Blogger.