একাত্তর: আগে-পরে, ১- থ্যাংক ইউ জেনারেল, উই আর অলরেডি বার্নিং, ডোন্ট অফার আস ফায়ার by কাজল ঘোষ

থ্যাংক ইউ জেনারেল, উই আর অলরেডি বার্নিং, ডোন্ট অফার আস ফায়ার। তরুণ ছাত্রনেতার মুখে এমন কথা শুনে বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া দুই সেনা কর্মকর্তার। তৎকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তরে এ ঘটনা যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তরুণ এই ছাত্রনেতা অনলবর্ষী বক্তা। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার খলিফার একজন। যার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
গোয়েন্দা দপ্তরে সাবধান করতে ডেকে নেয়া সেই তরুণ ছাত্র নেতার মুখে এমন কথা শুনতে হবে- তা ভাবনায় ছিল না দুই জেনারেলের। শাহেবজাদা ইয়াকুব আলী ও রাও ফরমান আলী বিস্ময়ের ঘোর না কাটতেই ফোন করেন বাংলার
অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। উচ্চকণ্ঠে সাহেবজাদা বঙ্গবন্ধুকে ফোনে বললেন, ‘ইস্ট পাকিস্তানতো আজাদ হো গ্যায়া।’ বঙ্গবন্ধু অপরপ্রান্ত থেকে বললেন, ‘ভাইসাব, হাম ইনসাফ মাংতা’। গোয়েন্দা দপ্তর থেকে বেরিয়ে সেই তরুণ ছাত্রনেতা ছুটে গেলেন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর। বঙ্গবন্ধু তাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘ব্রাভো, ব্রাভো। আই এম প্রাউড অব ইউ।’ সেদিনের সেই ছাত্রনেতা ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক এই ছাত্রনেতা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে দেখছেন খুব কাছ থেকে। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে নানা ঘটনাক্রম, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নেপথ্য কথা, বাকশাল গঠনের প্রেক্ষাপট এবং বাকশালে যোগ না দেয়া নিয়ে নেপথ্যের কথা বলেছেন মানবজমিনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে। ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারের আজ পড়ুন প্রথম কিস্তি
নেতা বঙ্গবন্ধু, শাসক বঙ্গবন্ধু কোন পরিচয়টি আপনার কাছে বড়?
- নেতা বঙ্গবন্ধু আমার কাছে আকাশের ধ্রুব তারার মতো জাজ্বল্যমান। সব আন্দোলনের অগ্রদূত কারাগারের অবরুদ্ধ জীবনে নিবিড় সন্নিধ্যে এসে তাকে দেখা ও চেনার সুযোগে বলতে পারি নেতা মুজিবের চাইতে মানুষ মুজিব অনেক বড় ছিলেন। ১৫ই আগস্টে তার মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা জাতিকে হতবিহ্বল করলেও বাংলার মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও বিশ্বাসই তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ৩২ নম্বর ছেড়ে গণভবনে থাকলে দুর্বৃত্তরা এই দুষ্কর্মটি করার সুযোগ পেতো না। গণভবনে না থাকার কারণ ছিল সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে কর্মীরা তার সঙ্গে অবাধে দেখা করতে পারবে না। অন্যদিকে পাকিস্তান কারাগার থেকে তার মনে একটা প্রচণ্ড বিশ্বাস জন্মে শুধু ৩২ নম্বর কেন সারা দেশটাই তার জন্য সুরক্ষিত দুর্গ। অনেকের মতো আমিও দুয়েকবার বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করেছিলাম গণভবনের নিরাপত্তার আবেষ্টনিতে থাকার জন্য। আমাকে মুখ ভেংচিয়ে তিনি বলতেন, ‘তোমার তো অসুবিধা হবে না, কিন্তু সাধারণ মানুষ আমার কাছে আসবে কীভাবে?’ মুখ ভেংচানো বা ধমক হজম করা ছাড়া আমাদের আর কোনো গত্যন্তর ছিল না। ১৫ই আগস্ট আত্মগোপনে থাকাকালে বেতারে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। কান্নাকাটি করা ছাড়া আমার করারও কিছু ছিল না। কারণ কোনো সংগঠনেই কোনো অবস্থান আমার তখন ছিল না। যদিও আমি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। সেখান থেকেও আওয়ামী লীগের কোটারি নেতৃত্ব আমাকে নির্মমভাবে সরিয়ে দেয়। তারা আওয়াজ তুলে ভাবীকে (মিসেস মুজিব) ‘হু আফটার শেখ, মণি অর কামাল’। এই প্রশ্নে ভাবীকে তারা ভুল বোঝাতে সক্ষম হয়। আসলে মণি ভাইও কোনো দিন মুজিব ভাইকে সরিয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার কল্পনাও করতেন না। কিন্তু এই প্রচারে সবচাইতে কঠিন শাস্তি পেতে হলো আমাকে। মণি ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাকে যুবলীগের মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। বিষয়টি মানতে আমার খুব কষ্ট হলেও কোনো গত্যন্তর ছিল না।
শাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধু অনেকটাই ব্যর্থ। নেতা বঙ্গবন্ধু কর্মী অন্তঃপ্রাণ ছিলেন। জাতির পিতা হিসেবে দেশের প্রান্তিক জনতা তার ভালোবাসার উপাদান ছিল। যেকোনো অপরাধী তার সামনে গিয়ে পা ধরে মাফ চাইলে তিনি নির্ধিদ্ধায় তাকে মাফ করে দিয়ে বলতেন, এবার ছেড়ে দিলাম, আর করিসনে। পৃথিবীতে কোনো জাতির জনকই সফল শাসক হতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি না থেকে রাজধানী থেকে সরে গিয়ে টুঙ্গীপাড়ায় আশ্রম গড়ে তুললে তিনি সব বিতর্ক ও ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে থাকতেন। বাকশাল গঠন তো বটেই দেশ শাসনের অনেক পর্যায়ে তিনি সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন। জাসদ, গণবাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে এবং তার জনপ্রিয়তায় একটা চিড় ধরাতে সক্ষম হয়। যুক্তিগ্রাহ্য এবং অযৌক্তিভাবে তিনি সমালোচনার শিকার হতে থাকেন। আন্দোলন চলাকালে তিনি ছাই ধরলে সোনা হতো কিন্তু শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হলে অবস্থাটি কেন-যেন পালটে গেল।
ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে দেখেছেন?
-ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সরল ও সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। তার চরিত্রের একটি কালো দিক ছিল কারো কথায় হঠাৎ প্রভাবান্বিত হয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো আলাপ না করে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসতেন। তার প্রতিক্রিয়া জাতির জন্য যাই হোক না কেন- যারা যারা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে আমিও তাদের মধ্যে অন্যতম। দুর্নীতি কখনই আমার জীবনকে স্পর্শ করেনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিজের চেতনার আঙ্গিকে প্রভাবিত করার অপরাধ আমার কাছে। একটা উদাহরণ দিলে এটা স্পষ্ট হওয়া যাবে, লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনার ছিলেন ময়মনিসংহের এমএনএ (মেম্বার অফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) সৈয়দ সুলতান আহমদ। তার ওপর বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কেন জানি না। আমি ৩২ নম্বরের বারান্দায় বসে টিভি দেখছিলাম। তিনি চিৎকার করে কাকে যেন নির্দেশ দিচ্ছিলেন ‘ব্রিং ব্যাক সৈয়দ সুলতান আহমদ’। সৈয়দ সুলতান আহমদের সঙ্গে আমার সখ্যতা ছিল। তাৎক্ষণিক আমার মাথায় জেদ চেপে গেল তাকে ওখানে রাখতেই হবে। বস (বঙ্গবন্ধু) ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তার নির্ধারিত সোফায় বসলে আমি বলেছিলাম, ‘বস, একটা কাজের কাজ করেছেন। আমি আজীবন আপনার ওপর বক্তৃতা করার সময় আলঙ্করিক শব্দ প্রয়োগে কখনও কার্পণ্য করিনি। লন্ডনের হাইকমিশনার হিসেবে একটি বাঙালি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ উদ্বোধনকালে তিনি পনের মিনিটের বক্তৃতায় সাতাশিবার আপনার নাম উচ্চারণ করেছেন। ওনি কি আমাদের সঙ্গে টেক্কা দিতে চান? এটি অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করেছিল। ওনি ঘরে ফিরে গিয়ে লাল টেলিফোনে নির্দেশনা দিলেন, ‘সৈয়দ সুলতানকে প্রত্যাহার করার প্রয়োজন নেই। আছে, থাক।’ এ রকম শ’ শ’ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। তিনি অনেকাংশে আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক বিশেষ করে ভাবীর দ্বারা প্রভাবান্বিত হতেন। তার ভাগ্নে যাকে আমরা দাদাভাই বলে ডাকতাম খন্দকার মাহমুদ ইলিয়াসকে শিবচর থেকে প্রাদেশিক পরিষদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। ফলে ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ৬ দফা কর্মসূচির সফল রূপকার সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী সে আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন। যার ফলে রাজনীতির সক্রিয় ধারা থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। এখানে বাকী ভাইয়ের একটি প্রত্যক্ষ অপরাধ ছিল তিনি সম্পর্কটা ঝালিয়ে নেয়ার কোনো চেষ্টাতো করেন-ই নি বরং আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু নিজে ক্ষিপ্র বুদ্ধির (উইটি) লোক ছিলেন। অন্যের তীর্য ক্ষিপ্র বুদ্ধিতে তিনি প্রচণ্ডভাবে আপ্লুত হতেন এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে শাহেবজাদা ইয়াকুব আলী ও রাও ফরমান আলী পূর্ব-পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক ছিলেন। আমাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এলফো ঊ.খ.ঋঙ. (ইলেকশন লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডিনেন্স) সম্পর্কে কোনো সংঘাত হলে সরাসরি মামলা দায়ের না করে আমাদেরকে গোয়েন্দা অধিদপ্তরে ডেকে সতর্ক করে দেয়া হতো। আমি মাওলানা মওদূদীকে আবুল আ’লা ইহুদী বলে সম্বোধন করতাম। এটা নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। তারই সম্পর্কে সতর্কতা প্রদানের জন্য এখনকার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় তখনকার তাদের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকে সতর্ক করলেন। কথোপকথনের সময় টেবিলে রাখা ওনাদের অপূর্ব সুন্দর ইলেক্ট্রনিক সিগারেট লাইটার হাতে নিয়ে আমি আনমনে নাড়াচাড়া করছিলাম। শাহেবজাদা ইয়াকুব অত্যন্ত কৌতূহলী মনে আমাকে বললেন, মি. সিদ্দিকী, ‘ডু ইউ লাইক ইট’ ইউ মে টেক ইট।’ আমি তাৎক্ষণিক লাইটারটি তাদের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘থ্যাংক ইউ জেনারেল, উই আর অলরেডি বার্নিং, ডোন্ট অফার আস ফায়ার।’ ওনারা বিস্মিত এবং আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলেন। কিছুটা বিমুগ্ধ ও বিহ্বলও হয়েছিলেন বটে। সঙ্গে সঙ্গে মুজিব ভাইকে ফোন করে উনি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলতে লাগলেন, ‘ইস্ট পাকিস্তানতো আজাদ হো গ্যায়া। কোই রোক নাহি সাকতা।’ ওদিক থেকে মুজিব ভাই বলছিলেন, (নেতার সঙ্গে দেখা হলে তিনি নিজে বলেছেন) ‘ভাইসাব, হাম ইনসাফ মাংতা।’ এদিক থেকে জেনারেল ইয়াকুবকে বলতে শুনলাম, আমার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলছেন, একজন ছাত্রনেতার উপস্থিত বুদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তা এতো প্রখর হলে সেই জাতিকে অবদমিত রাখা যায় না। ওখান থেকে বেরিয়ে আমি ৩২ নম্বরে গিয়ে দেখলাম নেতা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত। আমি কিছু বোঝার আগেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ব্রাভো, ব্রাভো, আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ’ বলে তিনি ঘটনাটি উল্লেখ করলেন।
একবার ব্যক্তিগত সফরে লন্ডন গিয়েছিলাম। বাংলাদেশ বিমানে ফিরতি পথে আমাদের কিছু যাত্রীকে বাহ্‌রাইনে রেখে প্লেনটি মিশরে বঙ্গবন্ধুকে আনতে যায়। উদ্দেশ্য ফিরতি পথে বাহ্‌রাইন থেকে আমাদের উঠিয়ে নিয়ে বিমানটি ঢাকায় আসবে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গীর তালিকায় আমার নাম ছিলো না আমি ওই ফিরতি প্লেনে না এসে বাহ্‌রাইনেই দুইদিন থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এতে প্লেনে আমাকে বঙ্গবন্ধু না দেখে চিফ পারসারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আলম কোথায়?’ উত্তরে পারসার বঙ্গবন্ধুকে জানালেন, ওনি দুইদিন বাহ্‌রাইনে থাকবেন। বাহ্‌রাইন থেকে প্রত্যাবর্তনের পর যথারীতি বসের সঙ্গে দেখা করতে ৩২ নম্বর গেলাম। তিনি তিনতলায় ছাদে পায়চারী করছিলেন। আমাকে দেখা মাত্রই চিৎকার করে বললেন, ‘মি. সিদ্দিকী নট অনলি ইউরোপ, ইউ হ্যাভ এনজয়েড ইন মিডলইস্ট টু’। আমি তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছিলাম। মিডলইস্ট ইজ টু হট অ্যান্ড এক্সপেনসিভ, অল ফর দি শেখস।’ বঙ্গবন্ধুর আত্মসম্মানে কথাটা লেগেছিল। তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘হোয়াট’? আমি ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছিলাম, ‘অফকোর্স ইট ইজ অ্যারাবিয়ান শেখস, নট বেঙ্গলি শেখস।’ তিনি এই ক্ষিপ্রতায় এতোখানি আপ্লুত হয়েছিলেন যে, আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘হোয়াট এন ওয়ান্ডারফুল এস্কেপ’। দোষে গুণে মানুষ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে দু’টিই ছিল মাত্রাতিরিক্ত। বুদ্ধির ক্ষিপ্রতা ছিল অনন্য সাধারণ এবং কালজয়ী।

No comments

Powered by Blogger.