হাসিখুশি সোনামণি

উৎসব-পার্বণের কেনাকাটায় সবার আগে প্রাধান্য পায় বাড়ির শিশুরা। ঈদ উৎসবেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে রমজানের অর্ধেক শেষ হয়েছে। আর তাই ঈদের কেনাকাটায়ও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দেশের মানুষ। তবে মার্কেট ঘুরে এখন দেখা মেলে কেবলই শিশুদের পোশাক কেনার ধুম বেশি। তবে ছোটদের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্ব দিতে হবে আরামের প্রতি। রং ও নকশার দিকে না তাকিয়ে যে পোশাক পরে শিশু আরাম ফিল করবে সে পোশাকই কেনা উচিত। কারণ অনেক সময় পোশাকের রং থেকেও শিশুর ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে।
পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট
দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস এবারও বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্য এনেছে পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্ট। বরাবরের মতো এবারও এসব পোশাকের রঙে ও নকশায় ডিজাইনাররা ফুটিয়ে তুলেছেন উৎসবের বারতা। প্রায় সব ফ্যাশন হাউসই প্রধানত সুতি কাপড়েই এসব পোশাক বানিয়েছেন। নকশা করেছেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও হাতের কাজের মাধ্যমে। তবে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ভিন্ন ভিন্ন থিমে করেছেন তাদের পোশাক। যেমন সাদাকালো এবার তাদের পোশাকের ১৯২৬ সালে মিস আমেরিকার পরনের পোলকা ডট থিমকে ব্যবহার করেছে। রঙ বাংলাদেশ এবার তাদের পোশাকের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে নকশিকাঁথা, ইবান টেক্সটাইল, আফ্রিকান মাড হাউস আর ইসলামিক নকশা। আর কে ক্যাফটের পোশাকের থিম দেশীয় নিজস্বতা। নিপুণও তাদের পোশাকের থিমে ব্যবহার করেছেন ভিন্নতা। অন্যদিকে লা রিভ প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে চলমান আন্তর্জাতিক থিম বা ট্রেন্ডকে দেশীয় ঘরানার সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করেছে। এবারের থিম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছেন জ্যাকসটাপোজ। এছাড়া নগরদোলা, অঞ্জন’স, বিশ্ব রঙ ইয়োলো, শৈশব, মেঘসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও ভিন্ন ভিন্ন থিমে করেছে শিশুদের ঈদের পোশাক। আর আড়ং এবারও বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পাঞ্জাবি ও শার্টের বড় সংগ্রহ এনেছে। এসব হাউসে ছোটদের পাঞ্জাবি কেনা যাবে ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৮৫০, শার্ট ৫০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ ও টি-শার্ট ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা। কে ক্র্যাফটসহ অনেক ফ্যাশন হাউসই বরাবরের মতো এবারও বড়দের ও ছোটদের জন্য একই রং ও নকশার পেশাক বানিয়েছে।
ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ ও লেহেঙ্গা
বড়দের পাশাপাশি এবারও কে ক্র্যাফট, রঙ বাংলাদেশ, সাদাকালো, অঞ্জন’স, নগরদোলা, বিশ্ব রঙ, মেঘ, নিখুঁত বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ও ব্র্যান্ড ছোট মেয়েদের জন্য এনেছে ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন পোশাক। এসব পোশাকও প্রধানত সুতি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে। নানা থিমে করা এসব পোশাকের নকশায়ও আছে বৈচিত্র্য। আড়ংও এবার এনেছে নানা ধরনের ফ্রক, সালোয়ার-কামিজসহ বিভিন্ন পোশাক। ভিন্নধর্মী ফ্রক, সালোয়ার-কামিজসহ বিভিন্ন পোশাক আছে ইয়োলো বা শৈশবেও। মেঘের বিক্রয় কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, গ্রীষ্মের জন্য আমাদের ফ্রক বেশি চলছে। নিখুঁত বাংলাদেশের বিক্রয় কর্মকর্তা স্বাধীন বলেন, বরাবরের মতো এবারও আমরা হাতের কাজের প্রাধান্য দিয়ে সালোয়ার-কামিজ, টপস ও লেহেঙ্গা এনেছি।

No comments

Powered by Blogger.