৯৬% বিপণিবিতান ঝুঁকিপূর্ণ

আবু তৈয়বের বয়স যখন চার, তখন তার শরীরে ধরা পড়ল নেফ্রোটিক সিনড্রোম রোগ। এর কারণে তার কিডনি শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ধরে রাখার সক্ষমতা হারায়। ফলে শরীরে প্রচুর পানি জমে। চিকিৎসায় একটু হেরফের হলেই তৈয়বের শরীরও অস্বাভাবিক ফুলে বিবর্ণ হয়ে যায়। তাকে সুস্থ রাখতে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। তৈয়বের মা তাসলিমা আক্তার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কাজীর তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবা জিয়াউর রহমান একজন পল্লিচিকিৎসক। তাঁদের আরেক ছেলে মমতাহিন প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। টানা সাত বছর তৈয়বের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর্থিক টানাটানিতে পড়ে যায় পরিবারটি। কিন্তু বছরখানেক আগে ক্যানসার ধরা পড়ে তাসলিমা আক্তারের শরীরে।
ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর ডান হাতে পচন ধরেছে। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় তাঁকে ছয়টি কেমো দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁর রেডিওথেরাপির প্রস্তুতি চলছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাসলিমা আক্তারকে ১৭টি হার্ট সেপটিল ইনজেকশন দিতে হবে। প্রতিটি ইনজেকশনের দাম ৮০ হাজার টাকা। এত টাকার ওষুধ কেনা আর সম্ভব হচ্ছে না জিয়াউর রহমানের পক্ষে। একদিকে ছেলে তৈয়বের চিকিৎসা, অন্যদিকে স্ত্রীর ক্যানসার। ছেলে, না স্ত্রীকে বাঁচাবেন দিশেহারা জিয়াউর রহমান। পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে পারেন যে কেউ। তাসলিমা আক্তার। শিক্ষক হিসাব নং ১৪২০০১১০০৬৭২৮, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, আবুতোরাব বাজার শাখা, মিরসরাই, চট্টগ্রাম। বিজ্ঞপ্তি

No comments

Powered by Blogger.