কুড়িল উড়ালসড়কে বাতি নষ্ট

কুড়িল উড়ালসড়কের অধিকাংশ সড়কবাতি নষ্ট। গাড়ির হেডলাইটের আলোই চালকদের ভরসা। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। উড়ালসড়কের আশপাশের এলাকা অন্ধকার থাকায় নানা ধরনের অপরাধের ঘটনাও ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে দেখা যায়, উড়ালসড়কের বেশির ভাগ বাতি নষ্ট হয়ে আছে। কয়েকটি ভালো থাকলেও মিটমিট করে জ্বলছিল। দ্রুত গতির গাড়ির হেডলাইটে সড়ক কিছুটা আলোকিত হচ্ছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। পুরো এলাকায় গা ছমছমে, ভুতুড়ে পরিবেশ। এই পথের নিয়মিত যাত্রী জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, গত সোমবার আনুমানিক রাত আটটার দিকে গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা অনাবিল পরিবহনের একটি বাস কুড়িল উড়ালসড়ক পার হয়ে নামার সময় একটি ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ব্যক্তিগত গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আলোর ব্যবস্থা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। উড়ালসড়কের নিচে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, সন্ধ্যার পর উড়ালসড়কের আশপাশের জায়গায় অন্ধকার পরিবেশ বিরাজ করে। মাঝেমধ্যে চালকেরা দেখতে ভুল করেন। এতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেও সমস্যা হয়। উড়ালসড়কের আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের পাশে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। জায়গাটি একটু নিরিবিলি ও অন্ধকার, তাই সন্ধ্যা নামতেই এখানে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অন্ধকার থাকায় এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়েছে বলে তাঁরা জানান। গত ২৫ অক্টোবর ছিনতাইকারীদের গাড়ির চাপায় অনন্ত বিশ্বাস নামের একজন রিকশাচালক নিহত হন। তিনি গাইবান্ধার একটি বাস থেকে কুড়িলে নামার পর উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। কুড়িল উড়ালসড়কটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের আওতাধীন। ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করা হয়। ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়কটি নির্মাণ করা হয়। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আগের কোম্পানির লাগিয়ে যাওয়া কিছু বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণেও কিছু বাতি নষ্ট হয়েছে। রাজউকের পক্ষ থেকে নষ্ট বাতি ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও দ্রুত বাতিগুলো পরিবর্তন করতে বলবেন বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.