সিরিয়ায় রক্তসাগরের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র : এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ার বর্তমান ‘রক্ত সাগরে’র জন্য দায়ী ওয়াশিংটন। এর আগে রাশিয়া বা অন্যান্য শত্রুভাবাপন্ন দেশকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেও এই প্রথম তার সমালোচনার মুখে পড়লো ন্যাটোভুক্ত মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
এরদোগানের বক্তব্য, আইএস ছাড়াও অন্যান্য গোষ্ঠীর দ্বারা সৃষ্ট বিপদের ভয়াবহতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, সিরিয়ান কুর্দি যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা না দিয়ে, উল্টো সামরিক সহায়তা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি (যুক্তরাষ্ট্রকে) অনেকবার বলেছি, তোমরা কি আমাদের সঙ্গে আছ, নাকি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে?’
এরদোগানের মুখে ওয়াশিংটনের এমন সমালোচনা চোখে পড়ার মতো। যদিও, কুর্দিদের প্রতি তার দেয়া সমালোচনামূলক বক্তব্য নতুন নয়। বেশ কয়েক দশক ধরেই আঙ্কারার চোখে শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে সিরিয়ার জাতিগত এ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সহিংসতাকে বেছে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। আঙ্কারা বর্তমানে এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ছে। দেশটিতে কুর্দি গোষ্ঠিটিকে সত্যিকার হুমকি হিসেবে দেখা হয়। তুরস্কের মিত্ররাষ্ট্রসমূহ এ লড়াইয়ে তেমন জড়িত ছিল না। কিন্তু সিরিয়ায় আইএস’র উত্থাণের ফলে সব সমীকরণ পাল্টে গেছে। কারণ, আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে স্থলপথে এ বাহিনীকে এখন কাজে লাগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষোভ এরদোগানের।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমাদের মিত্র দেশসমূহের সঙ্গে আমরা সবসময় একমত হতে পারি না। সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে সবচেয়ে কার্যকর বাহিনীর অন্যতম কুর্দি যোদ্ধারা। আমরা তাদের সহায়তা দিয়েছি। আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
জন কিরবির এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

No comments

Powered by Blogger.