প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সু চির ‘খোলামেলা’ আলোচনা

প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে বৈঠকে সু চি। ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমারে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে ‘আন্তরিক ও খোলামেলা’ আলোচনা করেছেন সু চি। আজ বুধবার রাজধানী নেপিডোতে এ বৈঠক হয় বলে দেশটির তথ্যমন্ত্রী ইয়ে হতুত জানান। এরপর সু চি সেনাপ্রধান মিন অং হলাইংয়ের সঙ্গেও ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে এএফপির খবরে জানানো হয়।
সাধারণ নির্বাচনে গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল নিরঙ্কুশ জয় লাভ করলেও এখনো ক্ষমতা সেনাসমর্থিত সরকারের হাতেই। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতে পারে।
গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রায় ৮০ শতাংশ আসনে জয়ী হয়।
নির্বাচনে জয়ী হলেও সু চি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কেননা দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কেউ বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলে কিংবা তাঁর সন্তান অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তিনি ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও প্রভাবশালী সেনাপ্রধান মিন অং হলাইংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন এই দুজনই সু চিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও সু চির বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ইয়ে হতুত উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। এই আলোচনা ছিল আন্তরিক ও খোলামেলা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো ইতিহাস আমাদের নেই। আমরা অব্যর্থভাবে এই ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করব।’
বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনজন। নিম্নকক্ষের একজন, উচ্চকক্ষের একজন ও সেনাবাহিনীর মনোনীত একজন প্রতিনিধির মধ্য থেকে পার্লামেন্ট একজনকে প্রেসিডেন্ট এবং অন্য দুজনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।
সেনাবাহিনীর সম্মতি ছাড়া সংবিধান সংশোধন করে সু চির জন্য নতুন কোনো পদও সৃষ্টি করা যাবে না। তবে সু চি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসেবে অনায়াসে সংসদের নেতার পদ অলংকৃত করতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.