হার্ডড্রাইভের জায়গা নেবে ডিএনএ?

ডিএনএতে হাজারো বছর ধরে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়
ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। ডিএনএতে সংরক্ষিত দরকারি জ্ঞান হাজার বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব বলেই তাঁদের মত। আজ ডেইলি টেলিগ্রাফের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএনএতে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা দীর্ঘ সময় ধরে ডিএনএতে সংরক্ষিত তথ্য ডাউনলোড করার একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এক বিন্দু তরলের ওপর ভাসমান ডিএনএ তন্তু থেকে তথ্য খুঁজে বের করে আনার পদ্ধতি বের করা।
প্রধান গবেষক রবার্ট গ্র্যাস বলেন. কম্পিউটারের যেমন বাইনারি ভাষা আছে, তেমনি ডিএনএর একটি পৃথক ভাষা আছে। ডিএনএর ভাষা বাইনারি ভাষার চেয়ে পৃথক। কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ মূলত তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ওয়ান ও জিরো কোড হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু ডিএনএর কোড লেথা হয় চারটি রাসায়নিক নিউক্লিওটাইড সিকোয়েন্সের ওপর। নিউক্লিওটাইড এক ধরনের জৈবিক অণু যা মনোমার এবং ডিএনএ ও আরএনএর সাব ইউনিট হিসেবে কাজ করে। নিউক্লিওটাইড কোষে শক্তির প্যাকেট নিয়ে যায় নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেটের (এটিপি, জিটিপি, সিটিপি এবং ইউটিপি) আকারে যা বিপাকীয় প্রক্রিয়াতে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে।
গবেষকেদের দাবি, ক্ষুদ্র পরিসরে অনেক বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে ডিএনএ। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল-স্থায়িত্ব।
গবেষক গ্র্যাস বলেন, তত্ত্ব অনুযায়ী, এক আউন্সের চেয়েও কম ডিএনএতে তিন লাখ টেরাবাইটের বেশি তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। গবেষকেরা বলেন, হাজারো বছরের পুরোনো ডিএনএ আজও পরীক্ষা করে তথ্য বের করা যায়।

No comments

Powered by Blogger.