হাসপাতালের কারসাজি ৯৯ ভাগ ডেলিভারি সিজারে by মাহমুদ মানজুর

গার্মেন্ট শ্রমিক ঝুমুরের তীব্র প্রসব বেদনা। মাতুয়াইল শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সিঁড়ির গোড়ায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ডাক্তার দেখার আগেই সেবিকা এসে দেখে যান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেবিকা এসে জানান বাচ্চার অবস্থা ভয়ঙ্কর। উল্টে আছে। এছাড়া, বাচ্চার শরীর স্বাস্থ্য ভাল। নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়।  এখনই সিজার না করালে সন্তান অথবা মা যে কোন একজনকে হারাতে হবে। নিরুপায় ঝুমুর। কি করবেন তিনি? তার স্বামীও দিশাহারা। হাতে এত টাকাও নেই। ডাক্তার সবসময় বলে আসছিলেন নরমাল ডেলেভারি হবে। তাহলে এমন কি হলো যে সিজার করতে হবে? কোন উত্তর নেই ঝুমুরের। অবশেষে ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই তিনি অপারেশন থিয়েটারে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুত্র সন্তান জন্ম দেন তিনি। সিজারের মাধ্যমেই তাকে সন্তান জন্ম দিতে হয়েছে। আর এভাবেই প্রতিদিন শত শত মা তার সন্তান জন্ম দিচ্ছে সত্যিকারের গর্ভের স্বাদ না নিয়ে। হাসপাতালে গেলেই ডাক্তার, নার্স দ্রুত সিজারের পরামর্শ দেন। এ জন্য প্রতিটি হাসপাতালেই কাজ করে একটি চক্র। তাদের কারসাজিতেই মায়েরা পা দেন সিজারে।  গত এক সপ্তাহে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল সরজমিন ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। কাঁচপুর ব্রিজ এলাকার গার্মেন্টস কন্যা ঝুমুরের সঙ্গে কথা হয় শুক্রবার সকাল ১১টায়। কোলে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। নাম রেখেছেন জহিরুল ইসলাম। ঝুমুর বলেন, স্বামী-শাশুড়ির আপত্তি সত্ত্বেও ডাক্তারের পরামর্শে সিজার করিয়েছি। কারণ ডাক্তার বলেছেন, জহিরুলের শরীর-স্বাস্থ্য নাকি বেশ ভালো। তাই নরমাল ডেলেভারি হলে ওর এবং আমার ক্ষতি হতে পারে। কোলের হ্যাংলা পাতলা জহিরুলকে দেখিয়ে ঝুমুর বলেন, ‘এই দেখেন আমার জহিরুলের নাকি শরীর-স্বাস্থ্য বেশ ভালো! হেগো ‘‘আলতাসুনুগ্রাম’’ রিপোর্টে নাকি মোটা-তাজা আইছে। এই বইলা তাড়াহুড়া করে আমার অপারেশন করছে। ১৫ হাজার টাকা খরছ গেছে।’ যাত্রাবাড়ী এলাকার লেগুনার ড্রাইভার শফিক খন্দকার। উদভ্রান্তের মতো ছুটোছুটি করছেন শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উপর-নিচে। আলাপ করে জানা গেছে, স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার ভর্তি করিয়েছেন। শুক্রবার যে কোন সময় স্বাভাবিক ডেলিভারির কথা। ডাক্তার তাই নিশ্চিত করেছেন। তবে শুক্রবার দুপুর নাগাদ চিত্র পাল্টে গেছে। কর্তব্যরত নার্স জানিয়েছেন, বাচ্চা নাড়াচাড়া করছে না। এটা নাকি খুব খারাপ লক্ষণ। নার্স আরও বলেছেন, এভাবে বসে না থেকে দ্রুত সিজার করিয়ে ফেলাই ভালো। বেশি লাগবে না। হাজার দশেক টাকা হলেই ডাক্তারকে বলে সিজারের ব্যবস্থা করে দিবেন ঐ নার্স। শফিক খন্দকার ধারকর্জ করে পকেটে হাজার পাঁচেক টাকা নিয়ে অনাগত বাচ্চা ও তার মায়ের সু-চিকিৎসার কথা ভেবে হাসপাতালে এসেছেন। এরমধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দুই হাজার টাকা শেষ। সিজারের টাকা যোগাড় করতে স্বজনদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তার উপর মাথায় ঘুরছে বড় একটা প্রশ্ন- স্ত্রীর গর্ভের অনাগত সন্তান সুস্থ আছে তো? সুস্থ থাকলে নড়াচড়া করবে না কেন? তাইতো দিন এনে দিন খাওয়া শফিক খন্দকার এখন টাকার জন্য দিকভ্রান্ত। শুক্রবার নগরীর অন্যতম এই মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের অন্তত ৮ জন রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়। যাদের প্রত্যেকেই সিজার করিয়েছেন। সিজার করার কারণ হিসেবে প্রত্যেকের বর্ণনা প্রায় একই। এসব প্রসঙ্গে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অসম্মতি জানান। বলেন, আমার দায়িত্ব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া। কথা হয় সেবিকা সেলিনার সঙ্গে। তিনি জানান, এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন নবজাতক জন্ম নেয়। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৮ জনই সিজার রোগী। অর্থাৎ সরকারি এই চিকিৎসা কেন্দ্রে আগত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৮ ভাগই সিজারের শিকার হচ্ছেন।
হুবহু একই চিত্র মিলেছে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নামকরা আজিমপুর মেটারনিটি (মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রমতে, এখানে প্রতিদিন নবজাতক জন্মের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনের মধ্যে ওঠানামা করে। এরমধ্যে স্বাভাবিক প্রসবের ঘটনা একটি দুটির বেশি নয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বললেন, সন্তান প্রসবের জন্য এখন রোগী এবং চিকিৎসক উভয়পক্ষই সিজারকে নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত মনে করেন। তাই সিজারের সংখ্যা বাড়ছে। এই চিকিৎসক আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন যে দু’একটি স্বাভাবিক প্রসবের ঘটনা ঘটে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনার মতো। দেখা যায়, প্রচণ্ড প্রসব বেদনা নিয়ে একজন রোগী এলেন। আসার পর তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আগেই স্বাভাবিক প্রসব হয়ে গেল। যেটা তিনি বাসায় কিংবা গাড়িতে থাকলেও হতো। অর্থাৎ আমাদের এখানে স্বাভাবিক প্রসব মূলত সারপ্রাইজ গিফটের মতো।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কথা হয় এনজিও কর্মী মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। ৫ বছরের ফুটফুটে কন্যা মুনিয়াকে নিয়ে তিনি পায়চারি করছিলেন মেটারনিটি প্রাঙ্গণে। কথায় কথায় তিনি জানান, খুব দোটানার মধ্যে আছি। স্ত্রীকে ভর্তি করিয়েছি। শনিবার সম্ভাব্য ডেট ছিল ডেলিভারির। কিন্তু ব্যথা উঠেনি। ডাক্তাররা বলছেন অপেক্ষা না করে সিজার করিয়ে ফেলতে। কিন্তু আমার স্ত্রী কাটাছিঁড়ায় ভয় পায়। তাছাড়া, আমাদের প্রথম বাচ্চা স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হয়নি। ভালোর জন্য হাসপাতালে এনে ভুল করলাম কিনা, বুঝতে পারছি না। এই এনজিও কর্মী আরও জানান, সিজারের বিষয়ে আপত্তি করলেই ডাক্তার-নার্সদের মুখ কালো হয়ে যায়। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে।
মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা শেষ করতে না করতে দেখা গেল আরেক হৃদয়বিদারক ঘটনা। নবজাতক শিশু কোলে নিয়ে বিলাপ করতে করতে এম্বুলেন্স থেকে নামলেন বয়োবৃদ্ধ ফাতেমা খাতুন। জানা যায়, কোলের বাচ্চাটি তার নাতনি। ৮ই মে ছেলের বৌ-এর সিজার হয়েছে। জন্মের পর নাতনীর শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। তাই হঠাৎ করে বললো বাচ্চাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যেতে, কারণ এখানে আইসিইউ নেই। ফাতেমা খাতুন নাতনীকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ছুটে গিয়েছেন। কিন্তু তারা ভর্তি না করিয়ে ফেরত দিয়েছেন। এরমধ্যে নাতনীর নড়াচড়াও প্রায় বন্ধ। হাউমাউ করে কান্নারত ফাতেমা খাতুনকে আজিমপুর মেটারনিটির কর্তব্যরত ডাক্তার বললেন, ঝামেলা না করে দ্রুত শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। ‘তোরা জোর জবরদস্তি করে আমার বৌ’র পেট কাটছোস। আমার নাতনীর কিছু হইলে আমি তোদের ছাড়ুম না।’- এই বলে পঞ্চাশোর্ধ ফাতেমা খাতুন শিশু হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
এদিকে পরিসংখ্যান মতে একই ফলাফল মিলেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগ থেকেও। একটি সূত্রে জানা যায়, সারা দেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন প্রসূতি রোগী আসেন এখানে। যার ৯৯ ভাগই নানা কারণে সংকটাপন্ন। ফলে ঐ ৯৯ ভাগ রোগীকেই সাধারণত অস্ত্রোপচার করানো হয়।
অন্যদিকে ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত আদ-দীন হাসপাতাল মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মা ও শিশুর জন্য অন্যতম আস্থার জায়গা। সরজমিন গিয়ে এই হাসপাতালেও মিলেছে একই চিত্র। শনিবার এই হাসপাতালে আসা নাসরিন-ইমন দম্পতির সঙ্গে কথা হয়। ইমন জানান, প্রথম সন্তান হিসেবে স্ত্রী ও অনাগত সন্তানের প্রতি বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করছেন প্রথম থেকে। স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চার বয়স নয় মাস। তবে অতি সমপ্রতি নাসরিনের শরীরে পানি জমে খানিকটা ফুলে গেছে। তাই এদিন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে এসেছেন। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন পানির পরিমাণ বাড়তে থাকলে ১০ মাসের আগেই সিজার করাতে হবে। অন্যদিকে তাদের পূর্ব পরিচিত ধাত্রীর ভাষ্য, ‘শরীরে এমন একটু আধটু পানি আসেই। এটা কোন ঘটনা না। এই বাচ্চা ঘরেই আরামছে নরমাল ডেলেভারি হইবো। সিজার করাইলে ডাক্তারেগো ব্যবসা ভালো। ১০ মিনিটে ২০ হাজার টাকা কামাইবো। তাই হেরা সবাইরে সিজারের কথাই কয়।’’
এদিকে ডাক্তার এবং ধাত্রীর এমন বিপরীতমুখী কথা শুনে দিন যত গড়াচ্ছে ততই দুশ্চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছেন নাসরিন-সুমন দম্পতি। এই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা এই বিষয়ে কথা বলতে না চাইলে কথা হয় ঝিনুক নামের একজন সিনিয়র সেবিকার সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন নরমাল ডেলেভারির চল নাই। সব সিজার। সেবিকা আরও জানান, এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ নবজাতক জন্ম নেয়। এরমধ্যে দু’একটি নরমাল ডেলেভারির ঘটনা ঘটে। তার তথ্যমতে এরমধ্যে অধিকাংশ গর্ভবতী নারীই নাকি সিজার পদ্ধতিকে স্ব-ইচ্ছায় বেছে নেন, আর তাতে ডাক্তারদেরও সমর্থন থাকে।
দেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের মতে সিজার নয়, স্বাভাবিক প্রসবই মা ও বাচ্চার জন্য উত্তম পন্থা। উন্নত বিশ্বে সিজার হচ্ছে সন্তান প্রসবের জন্য সর্বশেষ উপায়। অথচ বাংলাদেশে সেই উপায়কে নিয়ে আসা হয়েছে সবার আগে। তাইতো সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। খোদ চিকিৎসকরাই বলছেন, এখন দেশের প্রায় সিংহভাগ নারী মাতৃত্বের অমৃত স্বাদ গ্রহণ করছেন সিজারের মাধ্যমে। অথচ এই সিজারের কারণে মা এবং সন্তান দু’জনেই পতিত হচ্ছেন দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের ঘেরাটোপে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ব্যথা ওঠার ১৮ ঘণ্টা অতিক্রম হলে সিজার করা দরকার হতে পারে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পরবর্তী সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। যেকোন কারণে মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হলে, প্রসবের রাস্তা ছোট থাকলে, গর্ভফুল বা পাসেন্টা অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে, প্রসব পথ আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বন্ধ থাকলে, জরায়ুতে সঠিক স্থানে সন্তান না থাকলে, মায়ের একলামসিয়া বা প্রিএকলামসিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
নগরীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে এমনই এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন কলাবাগানের আরিফা জামান। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম আমাদের প্রথম সন্তান স্বাভাবিক ভাবেই পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলবে। টানা ১০ মাস নিয়মিত চেকআপ, হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভালোই চলছিলাম। তেমন কোন সমস্যাই হয়নি ১০ মাসে। ডাক্তার ডেলিভারির একটা সম্ভাব্য তারিখ দিলেন ৮ই এপ্রিল। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ৮ই এপ্রিল ডাক্তারের কাছে যাই। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। সন্ধ্যায় নতুন করে সব পরীক্ষা করলেন। হাসিমুখে বললেন, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আপনাদের ইচ্ছে পূরণ হবে। সব ঠিকঠাক। আমি শতভাগ নিশ্চিত স্বাভাবিক ভাবেই আমার কন্যা সন্তান পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলবে। না, শেষ পর্যন্ত হলো না। ঐদিন রাতেই ডাক্তার হুট করে এসে আমার স্বামীকে বললেন, দেখুন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। সবচেয়ে নিরাপদ হয় আজ রাতেই সিজার করিয়ে ফেলা। তাতে করে মা এবং বাচ্চা দু’জনেরই মঙ্গল হবে। বাকিটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। কোন রকম কারণ ছাড়া ডাক্তারের হঠাৎ এমন কথায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। পরে একরকম মনের ভয়েই সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের।
দেশে আশংকাজনক হারে সিজারের প্রবণতা বেড়েই চলেছে- এমন মত প্রকাশ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের পরামর্শক ডা. ফারজানা ডালিয়া বলেন, সিজার এখন স্বাভাবিক ঘটনায় দাঁড়িয়ে গেছে। দিন যত এগুচ্ছে এর প্রবণতাও বাড়ছে। যা মোটেই সুখকর সংবাদ নয়। এরজন্য শুধু এক শ্রেণীর অসাধু ডাক্তার-হাসপাতালকে দায়ী করলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইদানীং শহরকেন্দ্রিক সিংহভাগ মা ও তার পরিবার সিজার নামক শর্টকার্ট পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে চান। তারা স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ২/৩ দিন অপেক্ষা এবং প্রসবের ব্যথা সহ্য করতে চান না। এটাই হলো বর্তমান সময়ের নির্মম বাস্তবতা।

No comments

Powered by Blogger.