হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার -মিট দ্য প্রেসে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নরলিন বিনতে ওথম্যান বলেছেন, যে কোন গণতান্ত্রিক দেশে হরতাল যে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে এটি বিনিয়োগের প্রতিবন্ধক। বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নির্বাহী সদস্য কাজী রওনক হাসানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধার অপর্যাপ্ততা তুলে ধরে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, এদেশে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। হরতালও এগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রশ্নে নরলিন বলেন, অনেকদিন আগেই ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করতে বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব দেয়া আছে। কিন্তু এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে কোন সমঝোতা নেই। সরকারের সাড়াও কম। তবে শিগগিরই বাণিজ্যমন্ত্রীর মালয়েশিয়া সফরে এ ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে পারেন বলে জানান তিনি। সেকেন্ড হোম সুবিধা নিয়ে মালয়েশিয়াতে ২৯২৩ জন বাংলাদেশী ব্যবসা করছেন বলে জানান নরলিন ওথম্যান। তিনি বলেন, এরা সবাই ব্যবসায়ী। মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসা বিস্তৃত। তারা বাংলাদেশ থেকে কোন অর্থ মালয়েশিয়াতে নিয়ে যান না। বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে মালয়েশিয়ার কোন কোম্পানির দ্বারা প্রতারিত না হন, সেজন্য শুধুমাত্র জি টু জির মাধ্যমে শ্রমিক নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশটির সরকার। নরলিন জানান, শুধুমাত্র জি টু জির মাধ্যমে যাওয়া শ্রমিকদের দায় নেবে মালয়েশিয়া সরকার। এ শ্রমিকদের কমপক্ষে ৩০০ ডলার বেতন, মেডিকেল সুবিধা দিতে বাধ্য কোম্পানিগুলো। এর ব্যত্যয় ঘটলে নিয়ম অমান্যকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন এ প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট ধীরগতির হলেও মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির চাহিদার ভিত্তিতেই এ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক যাচ্ছেন। তাই, অতিরিক্ত শ্রমক গিয়ে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম। বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন নরলিন। বাংলাদেশ ছাড়া আরও ৬টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক নেয় জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, এসব দেশের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সঙ্গে জি টু জি চুক্তি আছে।  দেশটিতে অবস্থান করা অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার জন্য অ্যামনেস্টি সুবিধা দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.