নওয়াজকে আবার আলটিমেটাম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন শীর্ষ আধ্যাত্মিক নেতা ও পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের (পিএটি) প্রধান তাহির-উল কাদরি। দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতার চলমান সংকট নিরসনে চেষ্টার মধ্যেই নতুন করে এই সময়সীমা বেঁধে দিলেন কাদরি। এদিকে, একত্রে আন্দোলন ও দাবি-দাওয়ার বিষয় কাদরির সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান দলের একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাদরিকে আন্দোলনের পরবর্তী ঠিক করার আগে সময় নেয়ার ব্যাপারে রাজি করান কুরেশি। এরপরই কাদরি এই ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার নওয়াজকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন কাদরি। দ্য ডন, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। এদিকে, নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা চেয়ে দেশটির একটি আদালতে রিট দায়ের করা হয়েছে। শনিবার নওয়াজের বিরুদ্ধে ‘জাতির সঙ্গে মিথ্যাচারের’ অভিযোগে লাহোর হাইকোর্টে এই রিট করা হয়। ইনসাফ লইয়ার্স ফোরামের সিনিয়র সভাপতি অ্যাডভোকেট গওহর নওয়াজ এই রিট দায়ের করেন। এতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন,
যা সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ ধারার লংঘন। এই মিথ্যাচারের কারণে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’ শুক্রবার নওয়াজ শরিফ পার্লামেন্টে বলেছিলেন, পিটিআই ও পিএটির অনুরোধে সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরীফকে রাজনৈতিক দলের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হতে অনুরোধ করেছেন। তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে উভয় দল ও সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে ফের ‘সেনা সংকট’ পাকিস্তানের রাজনীতি যেন ঘুরে-ফিরে সেনাবাহিনীর হাতেই জিম্মি হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ) ও পিএটির (পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক) সরকারবিরোধী আন্দোলনে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতার ঘোষণা এবং সরকারের পক্ষ থেকেও এর সমর্থন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে পিটিআই ও পিএটির যুগপৎ আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে মধ্যস্থতার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের (ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স) পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘোষণার পরপরই দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর এ বক্তব্য সরকারের মনোভাবেরই প্রতিধ্বনি। আইএসপিআরের ওই বিবৃতি প্রকাশের আগে তিনি নিজে সেটা পড়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও তা পড়ে দেখেছেন। ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পিটিআই ও পিএটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল রাহেল শরীফ। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিটিআই ও পিএটি নেতাদের দাবি অনুসারেই চলমান রাজনৈতিক সংকটে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। তবে দল দুটির পক্ষ থেকে সরকারের এ দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘অযোগ্য’ হাইকোর্টে রিট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন, যা সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ ধারার লংঘন। এই মিথ্যাচারের কারণে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন

No comments

Powered by Blogger.