গাজায় মানবিক বিপর্যয় ২০১২ সালকে ছাড়াল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বর হামলায় সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় ২০১২ সালকেও ছাড়াল। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮৪-তে। আর এর মাধ্যমে ইসরাইল ২০১২ সালের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেল। ২০১২ সালে ৮ দিনের যুদ্ধে গাজায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৭৭ জন ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ইসরাইলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। গাজার জরুরি বিভাগের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, রাফাহ শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনজন এবং দু’জন খান ইউনুস শহরে নিহত হয়েছেন। দেইর আল-বালাহ শহরে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধসহ দু’জন নিহত হন। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ শিশু। সপ্তাহব্যাপী আগ্রাসনে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৮০ জন ফিলিস্তিনি এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে দু’হাজারের বেশি। শনিবার ছিল এর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। সেদিন নিহত হয়েছেন ৫৬ জন ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে, গাজায় স্থল অভিযান চালালেও মঙ্গলবার ইসরাইল তা করেনি। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ায় ইসরাইল স্থল অভিযান পরিচালনা থেকে এদিন বিরত থাকে। তবে, সোমবার স্থল অভিযানে গিয়ে ইসরাইল সেনারা ব্যাপকভাবে আহত হয়েছে। সে কারণে ইসরাইল সরকার আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনকে সমর্থন করবে ইরান
ফিলিস্তিন জাতিকে সর্বশক্তি দিয়ে সমর্থন করবে ইরান। ইরানের জাতীয় সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক মহাপরিচালক হোসেইন শায়খুল ইসলাম সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি তার দেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন, যত যাই ঘটুক না কেন ফিলিস্তিনি জাতির সেবায় ইরান সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। চলমান আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে শায়খুল ইসলাম বলেন, ইসরাইলের সেনারা গাজার নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এছাড়া তারা ফিলিস্তিনি জনগণ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টির জন্য নির্বিচারে বাড়িঘর ও মসজিদ ধ্বংস করে চলেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড সোমবার ইসরাইলের একটি ‘মারকাভা’ ট্যাংক ধ্বংস হওয়ার খবর দিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় ওই ইসরাইলি ট্যাংক ধ্বংস হয়। ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি জিকিমে ওই ট্যাংকটি ধ্বংস হয় বলে সংবাদসূত্রগুলো জানিয়েছে। মারকাভা মডেলের এসব ট্যাংক বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য ট্যাংক বলে ইসরাইল দাবি করে থাকে। এপি, প্রেসটিভি।

No comments

Powered by Blogger.