কত আর বঞ্চিত হব?

১৯৭২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন যথাক্রমে ১. আদমজী জুট মিলস লিমিটেড ২. হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড ৩. স্টার জুট মিলস লিমিটেড এবং ৪. আমিন জুট মিলস লিমিটেডে আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে চাকরি করেছি। ৫৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় গত ১ মে ২০১০ আমিন জুট মিলস লিমিটেডের পত্র সূত্র নং-এজেএস/প্রশাসন/৬/২১/১৪০৪ মোতাবেক সরকারি বিধি অনুযায়ী ৩০ জুন ২০১০ তারিখে মিলের চাকরি থেকে আমি অবসর নিই৷ বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের প্রবিধান অনুযায়ী ১ অক্টোবর ২০১১ তারিখের আগেই উল্লিখিত সব মিল থেকে আমার ‘না দাবিপত্র’ আমিন জুট মিলস লিমিটেড, ষোলশহর, চট্টগ্রাম এসেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমার কর্মজীবনের চূড়ান্ত পাওনাদি (গ্র্যাচুয়িটি বিল) পাওয়ার জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহুবার আমিন জুট মিলস লিমিটেডের প্রকল্প প্রধানের কাছে আবেদন করেছি৷ অতীব দুঃখের বিষয়, মিল কর্তৃপক্ষ আমার পাওনাদি এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মিল কর্তৃপক্ষ আমার গ্র্যাচুয়িটি বিলের টাকাগুলো যথাসময়ে পরিশোধ করলে ওই টাকা সেই মুহূর্তে যেকোনো ব্যাংকে জমা রাখলে প্রতি মাসের ওই টাকার লভ্যাংশে আমার পরিবারের জীবন-জীবিকা সুন্দরভাবে চলত। সুদীর্ঘ ৩৮ বছর পাটকলে আমার চাকরি করা কি অভিশাপ?
আমিন জুট মিলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পত্র সূত্র নং এজেএস/৬/২১/১১৭২ মোতাবেক ৯ অক্টোবর আমার চূড়ান্ত পাওনাদি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছে গত ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৪ আবেদন করি। দুঃখজনক হলেও সত্য, অদ্যাবধি আমার গ্র্যাচুয়িটি বিলের টাকা পাইনি। এমনকি ওই টাকা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, অর্থাভাবে আমি ও আমার পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে দিন যাপন করছি, আমার স্ত্রী ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আমার এক ছেলের লেখাপড়া বন্ধ৷ এ অবস্থায় আমার ৩৮ বছর কর্মজীবনের চূড়ান্ত পাওনাদি পাওয়ার আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদন করছি।
কাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর
বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।

No comments

Powered by Blogger.