নয়াদিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ

ন্যান্সি পাওয়েল
ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক আগেই পদত্যাগ করলেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল। ভারতে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। নিউইয়র্কে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে গত ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনার জের ধরে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়। সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দুই দেশ এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাওয়েলের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী মুখপাত্র মেরি হার্ফ। ওয়াশিংটনে সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি ন্যান্সির পদত্যাগকে ‘অবসর’ বলে উল্লেখ করেন। ভিসা ফরমে মিথ্যা তথ্যের উল্লেখ এবং গৃহপরিচারিকাকে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগে দেবযানী খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে মামলা হয়।
তিনি অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মার্কিন কূটনীতিকদের বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে ২০১২ সালে ভারতে নিয়োগ পান পাওয়েল। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি সমর্থনযোগ্য নয় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। গত সোমবার পাঠানো পদত্যাগপত্রে ন্যান্সি পাওয়েল কোনো কারণ উল্লেখ না করে লিখেছেন, তিনি কিছুদিন ধরেই এ ধরনের পরিকল্পনা করছিলেন। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মনোনীত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন ন্যান্সি। দেবযানীকে নিয়ে বিতর্কের জেরে মোদি-ন্যান্সির ওই বৈঠক পিছিয়ে যায় বলে কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। গুজরাটে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে মোদিকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ভিসার ওপর নয় বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পথে তাঁর জোরালো সম্ভাবনার কারণে তাঁর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র নমনীয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এনডিটিভি।

No comments

Powered by Blogger.