ইরান-সিরিয়া নিয়ে রিয়াদের উদ্বেগ

বাদশা আবদুল্লাহ
ইরান ও সিরিয়াকে নিয়ে উদ্বিগ্ন সৌদি আরবকে আশ্বস্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে গত শুক্রবার রিয়াদে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব সম্পর্ক আরও সংহত করার আহ্বান জানান তিনি। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম সৌদি আরব সফরে গেলেন ওবামা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস তাঁর সঙ্গে ছিলেন। শুক্রবার বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন ওবামা। মার্কিন একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে তেহরানের অন্তর্বর্তী সমঝোতা নিয়ে রিয়াদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। এ ছাড়া তিন বছরের বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি ওবামার সামনে তুলে ধরেন।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামা বৈঠকে বাদশাহ আবদুল্লাহকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ইরানের সঙ্গে কোনো ‘বাজে চুক্তি’ ওয়াশিংটনও মেনে নেবে না। ওবামা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ওয়াশিংটন-রিয়াদের স্বার্থ একই সমান্তরালে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক কর্মকর্তা জানান, দুই নেতা মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি বিষয়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। সৌদি আরবের সুন্নি শাসকদের সঙ্গে শিয়াশাসিত ইরানের বিদ্বেষপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে ইরানের সুসম্পর্কের বিষয়টি রিয়াদের জন্য অস্বস্তির। তাই সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সৌদি সরকার। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে ছয় পরাশক্তির সঙ্গে তেহরানের সমঝোতাকে শুরু থেকেই সন্দেহের চোখে দেখছে ইরান। রিয়াদের মতে, এই সমঝোতার মাধ্যমে ইরান লাভবান হয়েছে। সমঝোতার সুযোগ নিয়ে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে। এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.