কেমন হবে তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ

শ্রীপুরে ভোট নিয়ে সশস্ত্র সংঘাত
আজ তৃতীয় পর্যায়ে ৮১টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শ্রীপুর উপজেলার নির্বাচন নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগে সহিংসতার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থগিত করেছে। তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে মোট এক হাজার ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বলে তথ্যে প্রকাশ। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগ দুই প্রধান দলের সমর্থিত প্রার্থী। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মার্কায় এবং কাগজে-কলমে এই নির্বাচন দলভিত্তিক না হলেও অতীতের তুলনায় এবারই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতারা প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। অপরদিকে এমনও তথ্য রয়েছে যে আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে বেশির ভাগ মন্ত্রী ও সমপর্যায়ের ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনে জড়িয়ে পড়েছেন। অনেকে বিভিন্ন উপায়ে নির্বাচনকে অনুকূলে আনার প্রয়াসে লিপ্ত। মাঠপর্যায়ের নির্বাচনে জড়িত বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে এ নির্বাচন নিয়ে তাঁদের অসহায়ত্বের কথা নানাবিধ উপায়ে বলার চেষ্টাও করেছেন। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ভূমিকা তাঁদের জন্য কতখানি অস্বস্তিকর, তেমন কথা জানাতেও কুণ্ঠিত বোধ করেননি।
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্ব অনেকটা শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপকে সেই তুলনায় শান্তিপূর্ণ বলার উপায় নেই। বহু উপজেলায় সহিংস পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। ব্যালট বাক্স ছিনতাই থেকে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানের সচিত্র সংবাদ শুধু পত্রপত্রিকাতেই নয়, টেলিভিশনের পর্দায়ও সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। বেশির ভাগ উপজেলায় সহিংসতার খবর তেমন না পাওয়া গেলেও অল্পসংখ্যক স্থানের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অনেককে ২০০৮ সালের আগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর বিশৃঙ্খল ব্যবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যেসব ভোটার ও জনসাধারণ যাঁরা ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের সব ধরনের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাঁদের হোঁচট খাওয়ারই কথা। বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারদের মনে পুরোনো আতঙ্ক নতুনভাবে অনুভব হতে পারে। তৃতীয় পর্যায়ের প্রাক্-নির্বাচনে বিশেষ কিছু জায়গায় যে ধরনের অশান্ত পরিবেশ, আচরণবিধির নির্বিচারে লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে, তাতে সাধারণ ভোটাররা আলোচিত ধাপের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত। এমন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
দুই তৃতীয় দফায় নির্বাচনে বহু জায়গায় আচরণবিধি ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হওয়ার খবর প্রকাশিত হলেও নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। সবচেয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানীর অদূরে শ্রীপুর উপজেলায়। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত ও অসমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত যে সহিংসতা হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এ মৃত্যু ঘটে প্রাক্-নির্বাচনী সহিংসতায় নির্বাচনের দিনের সপ্তাহ খানেক আগে, যখন পুরো পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কার্যত তেমন দেখা যায়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকার সব ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে থাকার কথা। কাজেই যেকোনো বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়দায়িত্ব যেমন নির্বাচন কমিশনের, তেমনি এর ব্যত্যয় বা বিচ্যুতিও নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। এখানে সরকারের বা প্রশাসনের ভূমিকা গৌণ থাকে। বরং সরকার বা প্রশাসনের যেকোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের সম্মতি ব্যতিরেকে সম্পাদন করার কথা নয়। এমনটাই আইনের বিধান। শ্রীপুরে পরিস্থিতির অবনতির সূত্রপাতের ঘটনাটির প্রেক্ষাপটের যে তথ্যচিত্র পাওয়া যায়, তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। শ্রীপুরে ইতিপূর্বের নির্বাচনগুলো, বিশেষ করে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু ২০০৮-এর পৌরসভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া বাকি নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের সময় হলেও ওই অঞ্চলের নির্বাচন নিয়ে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনে কোনো বড় ধরনের অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। শ্রীপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ফটোসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের ইতিহাস জড়িত। শ্রীপুর পৌরসভাতেই পাইলট প্রকল্প পরিচালিত হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে যুগান্তকারী ভোটার তালিকা প্রণীত হয়। সেই শ্রীপুরে অবশেষে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছে, যা সাধারণ ভোটারদের মর্মাহত করেছে। শ্রীপুরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয় আওয়ামী লীগের কথিত বিদ্রোহী প্রার্থীকে কেন্দ্র করে। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন কোনো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হলেও তা নির্বাচনের আচরণবিধি ও আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে এবং এর প্রতিকারের প্রাথমিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কোনো প্রার্থীকে গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলেও তা নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি অথবা সম্মতি ব্যতিরেকে করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে হস্তক্ষেপের শামিল বলে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি বা পূর্বানুমতি নিয়ে একজন বৈধ প্রার্থীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল কি না, তার ব্যাখ্যা কোনো পক্ষ থেকেই পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনার জের ধরে নির্বাচনী এলাকায় কয়েক দিন যাবৎ তথাকথিত বিদ্রোহী ও সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে একজনের মৃত্যু হয়। পত্রপত্রিকায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক প্রার্থীর কথিত দেহরক্ষীকে গুলি ছোড়ার ভঙ্গিমা প্রকাশিত হওয়ার পর প্রকাশের এবং প্রচারের প্রেক্ষাপটে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা জানা যায়নি। শ্রীপুরে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে এবং একজনের প্রাণহানি হয়েছে, তাতে নির্বাচনী পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। নির্বাচনে এ ধরনের সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির পেছনে যত পরোক্ষভাবেই হোক, ওই সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। রয়েছে প্রার্থিতা বাতিলের মতো আইন। এ ক্ষেত্রে শুধু স্থগিত করাই যথেষ্ট নয় বলে আমি মনে করি। এ পরিবেশ সৃষ্টি করার পেছনে যারা দায়ী, নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এর জের অন্যান্য স্থানেও পড়বে। আজকের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিভিন্ন জায়গার ভোটাররা। তাঁদের আশ্বস্ত করতে নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন, তেমনটা দৃশ্যমান নয়। আগেই বলেছি, বিভিন্ন তথ্য ও সূত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে চিত্র ফুটে উঠছে, তা অতীতের দুঃস্বপ্নের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তথ্যে প্রকাশ, ফরিদপুরের এক উপজেলায় একজন প্রার্থী যিনি একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের আত্মীয় বলে কথিত, অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্সসহকারে শোভাযাত্রা করেছেন, যার সচিত্র প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এমনভাবে আচরণবিধি ভাঙার মহোৎসবের পরও তাঁর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। প্রায়ই প্রতিপক্ষের সমাবেশে হামলা, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ইত্যাদির তথ্য প্রকাশিত হলেও প্রতিকার অত্যন্ত ধীরগতিতে অথবা না নেওয়ার কারণে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা। এসব আলামত নির্বাচনী সংস্কৃতিকে পুনরায় অন্ধকারাচ্ছন্ন করবে, তাতে সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন নির্বিকার থাকতে পারে না। উচিত হবে নিজস্ব উপায়ে এসব পরিবেশ নষ্টকারী ও আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায় সম্পূর্ণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, বিশেষ করে নির্বাচনের দিনে হানাহানি ঠেকাতে হলে কমিশনকে এখনই শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখনো তেমন অভিপ্রায় লক্ষ করা যাচ্ছে না।
তিন স্থানীয় সরকারের এই পর্যায়ের নির্বাচন এবার যেভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির উপাদান। ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পুরো দেশের উপজেলা নির্বাচনকে দুই বৃহৎ দলের জনপ্রিয়তার শক্তি প্রদর্শন করার ক্ষেত্র হিসেবেই নেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই দুই দলই বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা না করে প্রার্থী মনোনয়ন ও সমর্থনের যে ধরনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে স্থানীয় পর্যায়ে কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অধিক জনপ্রিয় ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে সমর্থন না পেয়েও নির্বাচন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ায় দলগুলো বিপাকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শাসক দল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলের নির্বাচন। এখানে প্রার্থীর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও পরিচিতি প্রাধান্য পায়। কাজেই দলের মনোনীত ব্যক্তি গ্রহণযোগ্য বা জনপ্রিয় না হতে পারে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিষয়; দলীয় ব্যানার ব্যবহার করলেও এর পরিবর্তন হওয়ার নয়। জনপ্রিয় নয় এমন ব্যক্তির দলের আনুগত্য ও প্রভাবের কারণে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, তার উদাহরণ শ্রীপুর। ১২ মার্চ প্রথম আলোতে প্রকাশিত তথ্যে প্রকাশ যে, শ্রীপুরে এখন আওয়ামী লীগ পূর্বতন প্রার্থীর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কথিত বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এতেই প্রতীয়মান যে স্থানীয় সরকার দলভিত্তিক নির্বাচন হলে তা কেমন হবে।
চার পরিশেষে যে বিষয়টি উল্লেখ করতে চাই তা হলো, এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কেন ধাপে ধাপে করতে হলো, বিশেষ করে একই জেলায় একাধিক ধাপে নির্বাচনের পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের সহায়ক হয়নি। এমন পরিকল্পনা কেন নিতে হলো, তার সংগত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। একাধিক ধাপে একই জেলা তথা পুরো দেশে উপজেলা নির্বাচন, বিশেষ করে দশম জাতীয় সংসদের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কতখানি ফলপ্রসূ হবে, তার বিশ্লেষণের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অতীতে উপজেলা নির্বাচন একই দিনে হওয়ায় হানাহানি ছিল না বললেই চলে। চতুর্থ পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের সমাপ্তির আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেড় মাস ছুটি গ্রহণ এবং অনুপস্থিতি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। অতীতে এমন নজির নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ সময় অনুপস্থিতি নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে বেশ জটিলতার সৃষ্টি করবে। কারণ, তাঁর অনুপস্থিতিতে একজন জ্যেষ্ঠ কমিশনার রুটিন কাজ করতে পারেন মাত্র। এখানেও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধিতে সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেন ছুটিতে বিদেশে গেলেন, তার ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারেন। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে বাকি ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, তেমন আলামত দৃশ্যমান নয়।
এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.): অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও কলাম লেখক।
hhintlbd@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.