নির্বাচনী কূটনীতি-২: ভরসা রাখুন বাংলাদেশের জনগণে by মিজানুর রহমান খান

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশসংক্রান্ত দুটি প্রশ্ন উঠেছিল। গতকালের লেখায় প্রথমটি আলোচনা করেছি।
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল: আপনি কি দয়া করে বলতে পারেন যে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ভারতের স্বার্থ কী? এর উত্তর সংগত কারণেই কেতাবি: ‘আমি এখানে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে আসিনি। সে কারণে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ তবে বাস্তবে প্রতিবেশীদের ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে’ ভারত প্রায় সর্বদা সক্রিয় রয়েছে।

ইন্দ্রানী বাগচী হয়তো বাংলাদেশের নির্বাচনের পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণে ভারতীয় একটি প্রভাবশালী সরকারি মহলের ইঙ্গিতকেই তাঁর লেখায় ‘ভারতের’ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাদের একটি বিষয় বুঝতে হবে। অন্তত শতকরা ৩৩ ভাগ ভোট পায় বিএনপি। দিল্লির কাছে তারা ‘বিরক্তিকর’। বাংলাদেশের ওই ৩৩ ভাগের কাছে তারা সুখকর। একে অগ্রাহ্য করে ভারত তার নিজের স্বার্থ টেকসই ভাবতে পারে না। সেটা তার অজানা নয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ইন্দ্রানী বাগচী বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং আল-কায়েদার প্রভাব চিহ্নিত করেছে।’ মনমোহন-ওবামা ইশতেহারে এদের নির্মূলে অভিন্ন লড়াইয়ের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকার রয়েছে। তাই ভারতীয় গোয়েন্দারা এমন তথ্য মার্কিনদের না জানিয়ে পারে না। এতে ড্যান মজীনা শুধু নন, এই অঞ্চলের সব মার্কিন এবং দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রদূতেরা কান খাড়া না করে পারবেন না। সেটা সত্যি ঘটলে তা ঠেকাতে গণতন্ত্র মেনে কৌশল নিতে হবে। আফগানিস্তানের ‘ক্রান্তিকাল’ সামলাতে শশব্যস্ত বহিঃশক্তিগুলোর বাংলাদেশ নীতি কী? তারা আরেকটি ক্রান্তিকাল এড়াচ্ছে, নাকি ডেকে আনার বা ক্রান্তিকাল এলে নীরব দর্শক থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে?
২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েবচ্যাটে অংশ নিয়েছিলাম। বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মার্কিনরা আশ্রয় দেবে কি না—এর উত্তরে মার্কিন মুখপাত্র ডেভিড লুনা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জি-৮ ক্লেপটোক্র্যাটদের (যারা সরকারি পদ ব্যবহার করে অর্থ ও সম্পদ গড়ে) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রেসিডেন্টের ৭৭৫০ নম্বর ফরমানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রবেশ স্থগিত করতে পারে। ২০০৮ সালে মার্কিন দূতাবাস ‘ক্লেপটোক্র্যাট সরকার ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’ হিসেবে তারেকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে সুপারিশ করল। জি-৮ ভুক্ত ব্রিটেনই হলো তারেকের নিরাপদ আশ্রয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বরে সেখানেই তারেকের সঙ্গে ৪০ মিনিট বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন পলিটিক্যাল কাউন্সেলর পুশপিন্দার ধিলন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২০০৮ সালে তারেককে নির্দিষ্টভাবে মার্কিন ‘জাতীয় স্বার্থের’ জন্য বিপজ্জনক মনে করেছিলেন। তারেক-ধিলনের লন্ডন বৈঠকও হয়তো বর্তমানের মার্কিন ‘জাতীয় স্বার্থের’ সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, তারেকের সঙ্গে আলোচনায় ধিলন আস্থা পাননি। সীমান্তের বাইরে তাদের কারও সঙ্গেই কারও শত্রুমিত্রতা নয়, প্রত্যেকের স্বার্থটাই স্থায়ী। বাংলাদেশের কোনো কোনো দল তা বুঝতেই চায় না। মজীনার চীন সফরের খবরটি ঠিক ছিল না। ঢাকা সফররত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট স্পষ্টভাষী না হয়ে যান না। ২০০৬ সালের পর সাতটা বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি একই আবহাওয়ায় ঢাকায় এসেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির পূর্বাভাস দিতে বললে তিনি বলেন, ‘দুই নেত্রী কারাগারে যেতে চাইবেন না।’
অধুনা প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রের সহিংস হওয়া মানেই হাজার হাজার লাশ। অনলাইনে ইরাক বডিকাউন্টের মতো বাংলাদেশ বডিকাউন্ট আমরা দেখতে চাই না। ২২ বছরে আড়াই হাজার লাশের খবর জেনে অনেক মুসলিম দেশ আমাদের এখনো ঈর্ষা করতে পারে।
খালেদা জিয়া তাঁর নির্বাচনী ফর্মুলা ভাষণে নির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ভারত ও অন্যদের আশ্বস্ত করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। এতে মার্কিন ও তার মিত্ররা যত সহজে আশ্বস্ত হতে পারে, সেটা ভারত হতে পারে না। ভারতের আস্থা পেতে খালেদা জিয়াকে সম্ভবত আরও প্রমাণ দিতে হবে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে ভারত তার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মুচকুন্দ দুবেকে বিশেষ দূত করে পাঠিয়েছিল। এরপর তিনবিঘা চুক্তি হলো। সাইফুর রহমান আওয়ামী লীগের নিন্দা কুড়িয়েও ভারতের জন্য বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করলেন। সেই দুয়ার কিন্তু আর বন্ধ হয়নি। তবে এর ধারাবাহিকতা থাকেনি। ২০০১ সালের পরে আবার সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু তা দ্রুত ভেঙে পড়ে। ডিজিএফআই এবং এনএসআইতে কট্টর ভারতবিরোধীদের নিয়োগ দিল্লিকে বিচলিত করে। উলফাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও দশ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনায় বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ে।
গত ১ নভেম্বর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী। তাঁর দ্বিধান্বিত উক্তি: ‘রাজনৈতিক ফলাফল যা-ই হোক, দুই দেশের আত্মীয়তা আরও বাড়বে।’ আশির দশকে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন মুচকুন্দ দুবে। সেই সময় তিনি বাংলাদেশি পণ্যে শূন্য শুল্ক দিতে ভারত সরকারের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের শেষে আমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আফসোস করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমার যুক্তি ছিল, এটা দিলে বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের বাজার সয়লাব হবে না।’ দুঁদে দুবে দূরদর্শী ছিলেন। বহু বছরের দেনদরবারের পর ভারত ২০১১ সালে এসে প্রায় শতভাগ বাংলাদেশি পণ্যকে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দিয়েছে। দুবের কথা ফলতে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় লেগেছে। কারণ, দেওয়া-নেওয়ার কূটনীতি নানা মাত্রায় ওঠানামা করেছে। এখন ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিকূলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি এখন ৪১৭ কোটি ডলার।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও ধর্মের নামে সহিংসতার মধ্যে তফাত গৌণ। রাষ্ট্রের সন্ত্রাস, নাকি বেসরকারি বাহিনীর সন্ত্রাস, কোনটা ভয়ংকর—নাগরিকের কাছে এই তর্ক বৃথা। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে রাজনীতির র‌্যাডিকালাইজেশন বা সহিংসতার বিস্তার ঘটতে পারে। সুতরাং, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার বড় হুমকি একতরফা নির্বাচন। একটি অপেক্ষাকৃত অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং তার মধ্য দিয়ে অধিকতর কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠা একটি শাসনব্যবস্থা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। কারণ, তা আপনাআপনি সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে। ভারত যুক্তি দিতে পারে যে, তারা বারংবার ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপর্যায়ে বিরোধী দলকে সঙ্গে নিতে, মার্কিনদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে ও ড. ইউনূসকে ক্ষুব্ধ না করার নীতি মানিয়ে চলারই তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আমল না দিলে তার কী করার আছে? এই মুহূর্তে বিএনপি না এলে বা তাকে না আনতে পারলে ‘সংবিধান অনুযায়ী’ নির্বাচনকে সমর্থন না দেওয়ার বিকল্প কী?
বিএনপি-জামায়াত জোটের সম্ভাব্য সরকার গঠনজনিত নিরাপত্তাহীনতা, নাকি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি ‘অবৈধ’ সরকারব্যবস্থার নিরাপত্তাহীনতা আখেরে বেশি ক্ষতিকর, সেই প্রশ্নটি উড়িয়ে দেওয়ার নয়। যদিও দুটোই বিপজ্জনক। আমরা কৃত্রিম অস্ত্রোপচার নয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে। জঙ্গিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র দুটোই সন্ত্রাসবাদ। দুই হুমকি মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা লাগবেই। রাষ্ট্রধর্ম দিয়ে সংখ্যালঘুর স্নায়ুপীড়নকারী জেনারেল এরশাদের বন্দুকের নলে প্রজাপতি দেখেছিল আনন্দবাজার গ্রুপ। এরশাদ আজও দিল্লির বিরক্তিকর বন্ধু নন। পয়গাম পাঠিয়ে দিল্লিতে তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তা তারই প্রমাণ।
সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বাংলা-ভারত সম্পর্ক বলতে গিয়ে দুই দেশের জনগণ ‘বন্ধু নয় আত্মীয়’ কথাটা বলেন। আমরা তা খুবই মানি। তিনি প্রথমে গত ‘পাঁচ-ছয় বছরে’ বলতে গিয়েই বিপদ টের পান। তাই দ্রুত ২০০০ সাল থেকে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি কর্তব্য পালনে ভারত কোনো কোনো সময় বিফল হয়েছে, তা আমি স্বীকার করব।’ তিনি আমাদের তাঁর কথায় সম্পর্কের ব্যালান্স শিটের দিকে তাকানোর পরামর্শ দেন। আর বলেন, এতটা বিশাল অর্জন আগে কখনো দেখা যায়নি। কী দিয়ে মাপব বলুন? ‘বাংলাদেশের কোনো দলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে মানুষের সঙ্গে।’ বহুল উচ্চারিত এই উক্তিটিও যথারীতি তাঁকে করতে হয়। এটা ভারতীয় কূটনীতির সীমাবদ্ধতারই স্বীকৃতি। প্রণব মুখার্জিকে সাক্ষাৎ না দিয়ে একটি পাকিস্তানবৎ আশ্চর্য আচরণ করেছিলেন বিএনপির নেত্রী। দিল্লিতে তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। এটুকু বাদে এও সত্য যে, ভারতীয় প্রতিনিধিগণ বিএনপির নেত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে গত পাঁচ বছরে সাউথ ব্লকের বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে কি না? সোনিয়া গান্ধীর ছায়ায় মনমোহন সিংয়ের মতো নিষ্কলুষ ব্যক্তিত্ব কেন ঢাকা-দিল্লির জং ধরা রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না? পাঁচ বছরের একটি মেয়াদে কেন অন্তত দুটি ফিরতি শীর্ষ সফরও করা গেল না? একজন মনমোহন যা পারেননি, তা একজন সম্ভাব্য নরেন্দ্র মোদি কেন পারবেন? ভারতের সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলাফল ও তার প্রভাব ক্ষমতাসীনেরা উপেক্ষা করতে পারে না।
সি. রাজা মোহন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রদায়ক সম্পাদক। তিনি বাংলা-ভারত সম্পর্কবিষয়ক একজন স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ। গত ১৯ আগস্ট তিনি ওই পত্রিকায় যে নিবন্ধটি লিখেছেন, সেটি সন্দ্বীপ চক্রবর্তীর উল্লিখিত ‘ব্যালান্স শিট’ বুঝতে সহায়ক। গত প্রায় পাঁচ বছরে বাণিজ্যে-বিদ্যুতে অনেক উন্নতি ঘটেছে। রাজা মোহন তা জেনেও লিখেছেন, ‘যখন দিল্লির সঙ্গে তার সব প্রতিবেশীর সম্পর্কে ঝোড়ো হাওয়ার অধ্যায়টা শুরু হলো, হাসিনাই তখন একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে ভারতের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করলেন।’ ভারত বিরোধিতার অবতার থেকেও বিএনপি কিন্তু ভারত বিরোধিতার জিগির তোলেনি। জমিজিরাত নষ্ট করে বাংলাদেশ কেবল ভারতীয় ভারী মালামাল ত্রিপুরায় পৌঁছাতে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ক্রান্তিকালীন বিশেষ মৈত্রী সড়ক সৃষ্টি করেছিল। এ নিয়ে অযথা মানুষ খেপানোর রাজনীতি করেনি বিরোধী দল।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, শেখ হাসিনা ভোটের রাজনীতির জন্য নয়, জাতীয় স্বার্থে ভারতের প্রতি উদারতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিদান মেলেনি। রামমোহন তাই যথার্থই মন্তব্য করেন: ‘তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি করতে দিল্লি যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে কথোপকথক হিসেবে দিল্লির বিশ্বাসযোগ্যতায় তা ভয়ংকর আঘাত হানবে।’ ভারতে বাংলাদেশের বন্ধুগণ অন্তত উড়িয়ে দেবেন না যে, এটা ইতিমধ্যে উপকূলে আঘাত হেনেছে।
বান কি মুন নাকি প্রধানমন্ত্রীকে শুধিয়েছেন, লেভেল ঠিক করতে যথেষ্ট কিছু করা হয়েছে কি? শেখ হাসিনা তাঁকে শোনান সংবিধানের কথা। বান কি মুন ‘সবার অংশগ্রহণের নির্বাচনের ওপর জোর দেন। হাসিনা পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ করেছেন। তবে তিনি তা রক্ষা করবেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
ঢাকার কূটনীতিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এবং ‘ইনক্লুসিভ’ কথাটি বেশ চালু হয়েছে। কিন্তু ইনক্লুসিভ অর্থাৎ বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচনে ভারতের সংকেত আমাদের বুঝতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কাছে কি তা স্পষ্ট? কোথাও কি ভুল হচ্ছে? আরটিভি থেকে নেওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখলাম। অনেক সূচকে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার কথা বলছিলেন তিনি। বাংলা ভাষায় দেওয়া তাঁর বর্ণনায় ‘আত্মীয়ের’ অত্যুজ্জ্বল আভা। বলছিলেন, আত্মীয়ের প্রতি বাধ্যবাধকতা ও দায়িত্বশীলতা থাকে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, দুই দলই মনে করে, জিততে হলে ভারত ও মার্কিন আশীর্বাদ লাগবেই। শেখ হাসিনা হয়তো এখন মনে করছেন, মার্কিনকে তার লাগবে না। খালেদা জিয়া নাকি ভাবেন, ২০০১ সালে ভারত-মার্কিনের কারণে তাঁর দল বড় জয়ের মুখ দেখেছিল। এবারও মার্কিন দোয়া আছে। তবে সহিংসতা ও অশান্তি হলে তার দায়দায়িত্ব দুই প্রধান দলকেই নিতে হবে।
আমরা বলি, দিল্লি ও ওয়াশিংটনকে না বলুন। কেবল ভরসা রাখুন বাংলাদেশের জনগণে। শেষ
 আগের কিস্তি>>
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.