সিনেটে অনুমোদন হলেই ফিরবেন থাকসিন

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে একটি আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্টের নিুকক্ষ। এবার উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হলেই দেশে ফিরতে পারবেন সিনাওয়াত্রা। এদিকে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিুকক্ষে শুক্রবার রাজনৈতিক সাধারণ ক্ষমা সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল পাস হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুক্রবার ৩১০-০ ভোটে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হয়। চারজন সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। অবশ্য সমালোচকরা বিলটির বিরোধিতা করছেন। তারা মনে করছেন থাকসিন দেশে ফিরে এলে দেশটির রাজপথ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। ২০০৬ সালে দেশটিতে থাকসিনের সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে দেশ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দেখা দেয় সামরিক অভ্যুত্থান। আর এরই মাধ্যমে অবসান ঘটে থাকসিনযুগের। এরপর ২০০৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় থাকসিনের পিপল পাওয়ার পার্টি।
কিন্তু ২০০৮ সালে দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে যান থাকসিন। এর মধ্যে পিপল পাওয়ার পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়। এতে থাকসিন সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৯০ জনের। থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ ছিল। এখন পাস হওয়া আইনটির সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘনকে বিচারের আওতার বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস জানিয়েছেন, এ আইনের মাধ্যমে যারা মানুষের রক্ত দিয়ে হাত রঞ্জিত করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতা থেকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। বিরোধীরা বলছেন, আইনটি করার ফলে থাকসিনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিচার হবে না। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশে ফিরতে পারবেন। উল্লেখ্য, থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.