সমকামী অধিকারের পক্ষে ইউনূসের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ধর্মীয় নেতারা by রাসেল আহমেদ

বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এবার ক্ষেপেছে দেশের ধর্মীয় নেতারা৷ গত বছর সমকামী অধিকারের পক্ষে তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা৷

দেশের ক্ষমতাসীন দলের চাপে এমনিতেই বিব্রত ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ এবার ধর্মীয় নেতাদেরও চক্ষুশূলে পরিণত হলেন তিনি৷সমকামী অধিকারের পক্ষে তাঁর কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভও হয়েছে৷ তবে এই মন্তব্য এখনকার নয়, কথাগুলো তিনি বলেছিলেন ২০১২ সালের এপ্রিলে, উগান্ডায়৷
দেশের কয়েকটি শহরের ইমামরা শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদে অংশ নেন৷ তবে বিক্ষোভ মিছিলগুলো ছিল নিতান্তই ছোট এবং তেমন জনসমর্থন দেখা যায়নি৷ কুমিল্লার একটি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়া ইমান মাওলানা মোহাম্মদ নোমান বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, সমকামীদের পক্ষ সমর্থন করে ইউনূস নাস্তিক হয়েছেন৷
স্থানীয় পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত বেশ কিছু মিছিল থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের ফাঁসির দাবিও জানানো হয়৷ ঢাকার জাতীয় মসজিদ কমিটির সচিব মনিরুজ্জামান রাব্বানী বলেছেন, শতাধিক শহরে আয়োজকরা ৬ লাখ লিফলেট বিলি করেছেন৷এইসব লিফলেটে লেখা ছিল ইউনূসের বক্তব্য৷ যেখানে তিনি সমকামীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভেদাভেদের বিরোধীতা করেছেন৷ রাব্বানী জানান, দেশের প্রায় ৫৮০টি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে৷ এমনকি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আয়োজকরা একশ মসজিদে লিফলেট বিলি করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানালেন তিনি৷ রাব্বানী আরো বললেন, ইসলাম এবং তাদের পরিবার ও সমাজকে রক্ষার জন্যই বিক্ষোবকারীরা এতে অংশ নিয়েছে৷ তবে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই আয়োজনে অর্থায়ন করেছে৷
ফাউন্ডেশনের প্রধান শামীম আফজাল অবশ্য এই কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এই আয়োজনে ফাউন্ডেশনের সমর্থন নেই৷বাংলাদেশে সমকামিতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে৷
ইউনূস বর্তামানে দেশের বাইরে আছেন৷ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসকে ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ শুধু তা ই নয়, এ বছর তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.