রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেই, গ্রেপ্তার ১৩

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ট্রেভন মার্টিন হত্যা মামলায় স্থানীয় নাগরিক নিরাপত্তা সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী জর্জ জিমারম্যানকে খালাস দেওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসে অন্তত ১৩ জনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে জিমারম্যানের বিচারে জাতিগত কোনো বিবেচনা স্থান পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিচারকাজে অংশ নেওয়া একজন জুরি সদস্য। ফ্লোরিডার একটি শহরের স্থানীয় নিরাপত্তা স্বেচ্ছাসেবী জিমারম্যান গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিরস্ত্র মার্টিনকে গুলি করে হত্যা করেন। আত্মরক্ষার জন্যই মার্টিনকে গুলি করেছিলেন বলে যুক্তি দেখালে আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি নির্দোষ বলে গত রোববার রায় দেন। রায় প্রত্যাখ্যান করে ওই দিন রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। সোমবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ করে তারা। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্রেনশ এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ওয়ালমার্টের একটি দোকান এবং একটি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। ঘটনার সময় পুলিশ অন্তত ১৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন নগরের মেয়র। অন্যদিকে উত্তর ওকল্যান্ডে বিক্ষোভকারীরা একটি রাস্তা অবরোধ করলে সেখান থেকে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমারম্যানের বিচারে অংশ নেওয়া একজন জুরি সদস্য মন্তব্য করেছেন, বিচারে জাতিগত কোনো বিষয় ভূমিকা রাখেনি। মার্টিনই প্রথমে জিমারম্যানকে আঘাত করার মাধ্যমে মারামারির সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। জিম্যারম্যানের আত্মরক্ষা করার অধিকার ছিল। জিমারম্যানের বিচারে গঠিত জুরিবোর্ডের সদস্য ছিলেন ছয় নারী। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে সবাই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। হত্যার ঘটনাটিকে অনেকেই বর্ণবাদী আচরণ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জনমত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.