‘আমার বদনাম আছে, মন্ত্রীর সুপারিশও শুনি না’ by আদিত্য আরাফাত ও নুরুল আমিন

নানামূখী চাপ সহ্য করে কাজ করতে হয় বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। ইতিপূর্বে চাপমুক্তভাবে দুদক
কাজ করেছে বললেও এই প্রথমবারের মতোচাপের কথা স্বীকার করেছেন দুদক চেয়ারম্যান।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিকভাবে বদলি করা হয়- গোলটেবিলে এমন অভিযোগ ওঠার পর তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পারি, রাজনৈতিকভাবে দুদকে নিয়োগ, বদলি বা পদায়ন হয় না। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবেন না।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমার একটি বদনাম আছে, আমি কথা শুনি না। দুদকের একজন ব্যক্তির বদলির কারণে কয়েকজন মন্ত্রী সুপারিশ করেছেন এবং সাবেক টিআইবি প্রধানও সুপারিশ করেছেন। আমি শুনি নাই।’’

গোলাম রহমান বলেন, ‘‘ঢাকা কার্যালয়ের বাইরে দুদকের ২২টি কার্যালয় আছে। এতে কাউকে পাঠালেই নানা অজুহাত দেওয়া হয়। এর কারণে অনেক সুপারিশ আসে। তবে আমি শুনি না।’’

তিনি বলেন, “কথা না শোনায় কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারেন।”

দুদকের প্রধান এ নির্বাহী বলেন, ‘‘দুদক সকল চাপের ঊর্ধে থেকে কাজ করছে।”

কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সব কালো টাকা কালো নয়। এটা মনে রাখতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘‘দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি চলছে। সরকারি সেক্টরের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরেও দুর্নীতি চলছে।’’

গোলটেবিল বৈঠকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘‘দুদক সরকারের অধীনে কাজ করে না। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে। এর আইনজীবীরাও সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত না।’’

তিনি বলেন, ‘‘প্রাইমারি বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ‘দুর্নীতিকে না বলা’র মন্ত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই দুর্নীতি কমবে।’’

গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

এ রিপোর্ট লেখাকালে দুপুর সোয়া ১টায় গোলটেবিল বৈঠক চলছে।

No comments

Powered by Blogger.