বিশেষ সাক্ষাৎকার : আবদুল আউয়াল মিন্টু-গণতন্ত্রে বিরোধী দলও সরকারের অংশ

দেশের চলমান রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হয়েছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলী হাবিব ও মোশাররফ বাবলু


কালের কণ্ঠ : শুরুতেই চলমান রাজনীতি। বিরোধী দল নানা কর্মসূচি পালন করছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী উত্তরবঙ্গ ও হবিগঞ্জ সফর করেছেন। বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচির সঙ্গে জনসম্পৃক্তি কতটুকু বলে আপনি মনে করেন?
আবদুল আইয়াল মিন্টু : এ বিষয়ে কথা বলার আগে আমি একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে চাই। বলতে পারেন, এটা হচ্ছে আজকের আলাপচারিতার সূচনা পর্ব। রাজনীতিতে এখন সরকারের যে ভূমিকা, এটা সরকারের কাজ না। যে কাজ বিরোধী দলের নেত্রী করছেন, কষ্ট করে ঘুরে- এটাও বিরোধী দলের নেত্রীর কাজ নয়। কিন্তু একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিবেচনার বিষয়, এই পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো? সরকারের কাজ হলো দেশের উন্নয়নে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া। আর বিরোধী দলের কাজ হচ্ছে দেশের উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করা। জনকল্যাণ হবে না, এমন যেসব বিষয় বিরোধী দলের মনে হবে, সেসব বিষয়ে দলের প্রধান জনগণকে জানাতে পারেন। সম্প্রতি ওবামা-রমনি বিতর্ক তো আমরা সবাই দেখেছি। কেউ কাউকে ছাড় দেননি। বিরোধী দলের নেত্রী বিভিন্ন জায়গা সফর করছেন কেন? মনে হতে পারে, তিনি একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে চান। প্রশ্ন হচ্ছে, আন্দোলনের প্রয়োজন হলো কেন? আমার মতে, সরকার বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ব্যবহার করে সংবিধানে একটা পরিবর্তন এনেছে। যে ব্যবস্থায় আমরা গত তিনটা নির্বাচন করেছি, পৃথিবীর কাছে যে ব্যবস্থাটি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। ব্যবস্থাটি চালুর ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ একমত হয়েছিল। কিন্তু এবার যখন সংবিধান সংশোধন হয়, তখন তা হয়নি। এবার সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরকার ক্ষমতার শক্তি দেখিয়েছে। ক্ষমতার শক্তি সরকার কেন দেখাবে? দেখাবে রাস্তার কর্মীরা। সংক্ষেপে বললে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে, সরকারি দল যা করছে, তা বাঞ্ছনীয় নয়। বিরোধী দল যা করছে, আন্দোলনের পরিবর্তে জনকল্যাণ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য করত তাহলে বিরোধী দলেরও সময়টা ভালো ব্যবহার হতো। অবশ্য বিরোধী দল সবসময় বলে থাকে, তাদের আন্দোলন জনগণের কল্যাণের জন্য। এবার একটি বিষয় লক্ষ করেছি। সেটা হচ্ছে জনগণের সাড়া। বিরোধী দলের আন্দোলনে জনগণের এমন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া আমি আগে দেখিনি। আগেই বলেছি, এটা বিরোধী দলের কাজ নয়। সরকার বা বিরোধী দলের কাজ হচ্ছে আইন নিয়ে। বাইরের আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজটি হচ্ছে না।
কালের কণ্ঠ : এই কাজের কাজটি যেখানে হবে, সেই সংসদে তো বিরোধী দল অনুপস্থিত। তাহলে কাজটি হবে কী করে?
আবদুল আইয়াল মিন্টু : সেই জায়গাটিকে যদি সংসদ বলেন, তাহলে বিরোধী দল সেখানে অনুপস্থিত। প্রথম কথা হচ্ছে, সেখানে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা এতই কম যে তারা গৌণ হয়ে গেছে। আর সংসদে কি সব কাজ ঠিকমতো হচ্ছে? স্পিকার তো সেদিনও বলেছেন, 'আমি যে জন্য ফ্লোর দিই, সে বিষয়ে আলোচনা হয় না।' উভয় দল যে ধরনের আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করে আমি নিজেই তো লজ্জিত হই। আমি সংসদ সদস্য হলে কী করতাম? একটি সুনির্দিষ্ট 'কোড অব কন্ডাক্ট' না হওয়া পর্যন্ত আমার দল গেলেও আমি যেতাম না। যেখানে যেখানে আইনের অভাবে অথবা আইনের অতিরঞ্জনে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই আইনগুলো বদলানো হচ্ছে সংসদের কাজ। আমাদের দেশে কী হয়? এখানে সংসদ সদস্যরা আইন পাস করেন, আইন প্রণয়ন করেন না। আমরা এমন একটি সংসদ চাই, যেখানে সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়ন করবেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, আইন বানাচ্ছে কে? এখন তৈরি হচ্ছে নির্বাহী বিভাগের আওতায়। সরকারের চাকরি করেন, অনির্বাচিত কিছু লোক। একটি আইন তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করেন। পরে আইন মন্ত্রণালয়ে যায়। যে আইনটি তৈরি হচ্ছে, সেটা অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা পরীক্ষা হয়। পরে সেটা কেবিনেটে পাস হয়। কেবিনেটের সদস্যরাও নির্বাহী বিভাগের সদস্য। আইন তৈরির ক্ষেত্রে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। পরে এটা পাস হওয়ার জন্য সংসদে যায়। এখানে বিরোধী দলের করণীয় কিছু নেই। বিরোধী দল সংসদে গিয়ে কী করবে? বলতে পারেন, তবু বিরোধী দলের সংসদে যাওয়া উচিত। আমিও তাই মনে করি। কিন্তু তার জন্য সংসদে সংখ্যাগুরুদের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব রয়েছে।
কালের কণ্ঠ : কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ হচ্ছে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
আবদুল আউয়াল মিন্টু : বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতিবিদদের মিথ্যা বক্তব্য শুনতে শুনতে ত্যক্ত-বিরক্ত। গণতান্ত্রিক রীতি হচ্ছে, সরকারি দল-বিরোধী দল সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারি দল বিরোধী দলকে যেমন সুযোগ দেবে; বিরোধী দলও সরকারি দলকে সুযোগ দেবে। গণতান্ত্রিক ধারা বলতে আমরা বুঝি, দেশের মানুষ কী চায়, সেটা অনুসরণ করতে হবে। আইনের অসম প্রয়োগ হবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রে বিরোধী দলও সরকারের একটা অংশ। গণতন্ত্রে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। গণতন্ত্রে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একজনের অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে আরেকজনের অধিকার খর্ব করা যাবে না। দেখেশুনে তো মনে হয়, এ দেশে গণতন্ত্র কখনো ছিল না। গণতন্ত্র এখনো নেই। গণতান্ত্রিক ধারার কাছাকাছিও আমরা নেই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বলতে বলা যেতে পারে, এখানে একটি নির্বাচিত সরকার আছে।
কালের কণ্ঠ : আপনি যা বলছেন, তা থেকে আমরা কি বলতে পারি যে আমরা গণতন্ত্র চর্চায় এখনো শতভাগ সফল হতে পারিনি?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : শতভাগ সফল? আমরা তো গণতন্ত্র চর্চা শুরুই করিনি। বিদেশিরা জোর করে বলাতে বা আন্দোলন-সংগ্রাম হওয়াতে এখানে আমরা একটা নির্বাচন পাই। সেই নির্বাচন নিয়েও এখন ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। গণতন্ত্রে প্রবেশের দরজা হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্র মানে অধিকার হরণ নয়। গণতন্ত্র বলতে আমি যা বুঝি, বাংলাদেশ এখনো তার কাছাকাছি পর্যায়ে নেই। সেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা দীর্ঘদিন লড়াই করেছি। সে লড়াই আবার শুরু হবে।
কালের কণ্ঠ : আমাদের এখানে রাজনৈতিক দলগুলো কি গণতন্ত্রের চর্চা করছে? বাংলাদেশে রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে কিছু বলুন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু : না, করছে না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করে লাভ নেই। বাংলাদেশে সামাজিক-রাজনৈতিক খুব কম প্রতিষ্ঠানে আপনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পাবেন। খুব কম সংগঠনকেই আপনি গণতান্ত্রিক বলতে পারবেন। আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন আছে। তার নির্বাচনও হয়, এক ধরনের লোক দেখানো নির্বাচন। সেখানেও সরকার পেছন থেকে চাবি ঘোরায়। দেশকে যাঁরা গণতন্ত্র দেবেন, আগে তাঁদের গণতান্ত্রিক হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। আর রাজনৈতিক দর্শন? এ দেশের মানুষের দারিদ্র্য কিভাবে কমবে- এটাই তো আমাদের রাজনৈতিক দর্শন হওয়া উচিত। জনগণের ক্ষমতায়ণ কিভাবে হবে, সেটা ভাবতে হবে। এখানে মুখে মুখে বলা হয়, জনগণ ক্ষমতার মালিক। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।
কালের কণ্ঠ : তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব রয়েছে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : মূল্যবোধ ও চর্চা দুটোরই অভাব। মূল্যবোধ নেই বলেই চর্চা হচ্ছে না। আবার চর্চা নেই বলেই মূল্যবোধ গড়ে উঠছে না। আমরা গণতন্ত্রহীন ছিলাম, গণতন্ত্রহীন আছি। রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের কথা বলে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে।
কালের কণ্ঠ : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে দেশে। এ বিচার প্রসঙ্গে আপনার মত কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : যারা অন্যায় করেছে, অবিচার করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এ নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালেও একটি সরকার ছিল। তখন কি সেই সরকার ঘুমিয়ে ছিল? আমার কথা হচ্ছে, এই বিচার যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হয়। রাজনৈতিক বিচারে আমি বিশ্বাস করি না। আমি ন্যায়ভিত্তিক বিচারে বিশ্বাসী।
কালের কণ্ঠ : এই সরকারকে কতটা ব্যবসা-বান্ধব বলে মনে করেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা না দেওয়া সমান। এ সরকার মুখে যা বলে কাজে সম্পূর্ণ বিপরীত। একটি সরকার কেন ব্যবসা-বান্ধব হয়? সরকারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হয়, এটা বাইরে আর বলা হয় না। আমাদের দেশের সরকার বলে থাকে, বেসরকারি খাত আমাদের উন্নয়নের চাকা। সরকার বলুক না বলুক, বেসরকারি খাত দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। রপ্তানি বাণিজ্য, কর্মসংস্থান বেসরকারি খাতেই বেশি। যদি মূল্য সংযোজনের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে, সেখানেও বেসরকারি খাত এগিয়ে আছে। এখন প্রয়োজন পরিবেশ আরো সুন্দর করা। বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। তার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। জ্বালানি থেকে শুরু করে যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অস্থিরতা দূর করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : আপনি যদি মানুষের চাহিদার দিকে তাকান, কী দেখবেন? মানুষ বিদ্যুৎ চায়। কুইক কিংবা লেট বোঝে না। বিদ্যুতের দুর্গতি দূর করার জন্য কিছু কুইক রেন্টাল করাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু এটাকে পুঁজি করে যদি সরকারি দলের লোকদের টাকা বানানোর একটা রাস্তা বের করা হয়, তাহলে আমার আপত্তি। আমি মনে করি, কুইক রেন্টালের নামে সেটাই করা হচ্ছে। কুইক রেন্টাল বা রেন্টালের মাধ্যমে কোনো দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। দুর্নীতি শুধু বেড়েছে।
কালের কণ্ঠ : নতুন ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য আছে আপনার?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : লোকসংখ্যা ও জিডিপির ভিত্তিতে আরো ১০টা ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আরো লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কাকে দিচ্ছেন? অর্থনৈতিক কারণে না দিয়ে যদি দলীয় ও রাজনৈতিক কারণে লাইসেন্স দেওয়া হয়, তাহলে আপত্তি থাকাটাই স্বাভাবিক। যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখলেই উপলব্ধি করা যাবে, কেন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
কালের কণ্ঠ: এই সময়ের আলোচিত বিষয় হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও ডেসটিনি বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : হলমার্ক ও ডেসটিনি দুটি আলাদা বিষয়। প্রথমে আমি হলমার্ক নিয়ে বলি। সোনালী ব্যাংকের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক। ব্যাংকের একটা আইন আছে। সেই আইন সেখানে লংঘিত হয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে। সরকারের নিয়োগ করা পরিচালনা পর্ষদ ঠিকমতো কাজ করেছে কি না সেটা দেখতে হবে।
কালের কণ্ঠ : সরকারের পৌনে চার বছরের সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন, আপনার দৃষ্টিতে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চারটি বছর হারিয়ে গেল। চার বছর দেশের কোনো কাজেই আসেনি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ব্যর্থ।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দল কি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু : বিরোধী দলের যে কাজগুলো করার কথা, সেখানে প্রতিবন্ধকতা কোথায়, সেটা আগে বের করতে হবে। বিরোধী দলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে দেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা বিবেচনা করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আবদুল আউয়াল মিন্টু : আপনাদেরও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.