যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ১৯০ জনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। শুধু আলাবামা অঙ্গরাজ্যেই ১২৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়দুর্গত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, দুর্গত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আলাবামা, আরকানস, কেন্টাকি, মিসিসিপি, মিসৌরি, টেনেসি ও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর জন্য দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে দেশটিতে প্রায় ৩০০টি ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বুধবার এক দিনে ১৩০টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
আলাবামার জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার (ইএমএ) কর্মকর্তা ইয়াসামি অগাস্ট জানান, ঘূর্ণিঝড়ে আলাবামায় বহু লোক হতাহত হয়েছে। তুসকালোসা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ইএমএ ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বার্মিংহাম শহরেও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। কর্মকর্তারা সেখানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন।
তুসকালোসার মেয়র ওয়ালটার ম্যাডক্স জানান, ঝড়ে শহরের অনেক স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রবার্ট ব্রান্টলি জানান, আলাবামা, জর্জিয়া ও মিসিসিপির বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভয়াবহ বজ্রপাত আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় ‘উচ্চমাত্রার ঝুঁকি’র সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গ্রেট লেকের নিম্নাঞ্চল থেকে গালফ কোস্ট ও আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলীয় ২১টি অঙ্গরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে ভার্জিনিয়া ও ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যেও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ি, ট্রাক্টর ও গাড়ির ওপর গাছ পড়ায় অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে। বন্যায় প্লাবিত এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের ওপর পড়ে থাকার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িঘর, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কিছু কিছু জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
কেন্টাকির গভর্নর স্টিভ বেসেয়ার জানান, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে জনগণ দুর্ভোগে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্গত জনগণকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.