আবার টেস্ট পেছাতে চায় নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপের পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ বছর ব্যস্ত সময় কাটাবে বাংলাদেশ দল। এপ্রিলে আসবে অস্ট্রেলিয়া, জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর, অক্টোবর আর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ। মাঝে মে মাসে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড দলেরও। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড সফরটি পিছিয়ে নিতে চাচ্ছে ২০১২ সালে।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা বলে গত বছরের অক্টোবরে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের পরিবর্তে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলে গেছে নিউজিল্যান্ড। সিদ্ধান্ত হয়, টেস্ট দুটি হবে এ বছরের মে মাসে। বিসিবি সূত্রের খবর, মে মাসে বাংলাদেশে প্রচণ্ড গরম থাকে বলে নিউজিল্যান্ড এবার সেটিকে ২০১২ সালে নিতে চাচ্ছে। কাল বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির এক সভা শেষে কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন বলেছেন, ‘তারা বিসিবিকে টেলিফোনে তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে। আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস খোঁজখবর করে দেখছি। যদি ওই সময় আবহাওয়া ভালো থাকার সম্ভাবনা থাকে, আমরা সেটা নিউজিল্যান্ডকে জানাব।’
বাংলাদেশের সফরসূচিতে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটও। আগামী জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডের সঙ্গে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে নিজেদের মাটিতে টেস্টে ফেরার কথা জিম্বাবুয়ের। তারা আবার দুই টেস্টের পরিবর্তে একটি টেস্ট খেলার ইচ্ছা জানিয়েছে। কিন্তু বিসিবি দুটি টেস্টই চায়। এ নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন এনায়েত হোসেন। জিম্বাবুয়ে সফরের পর অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ। দুটো সিরিজই দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের। এর আগে আগামী ৪ এপ্রিল তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৭ এপ্রিল ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর ৯, ১১ ও ১৩ এপ্রিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ। শেষের ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির।
ব্যস্ততা আছে ‘এ’ দলেরও। ৪ এপ্রিল দুটি চার দিনের ও পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে ‘এ’ দল যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ ছাড়া আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুলাই টেস্ট খেলুড়ে ছয়টি দেশের ‘এ’ দলের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় একটি টুর্নামেন্ট খেলার কথা তাদের।
টেকনিক্যাল কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে জাতীয় দলের কোচ-ট্রেনারদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রসঙ্গও। বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট, ফিল্ডিং কোচ জুলিয়েন ফাউন্টেন, ট্রেনার গ্রান্ট লুডেন ও ফিজিও মাইকেল হেনরির বর্তমান চুক্তি শেষ হবে আগামী ৩১ মার্চ। নতুন চুক্তিটা তারা সবাই পরবর্তী দুই বছরের জন্য চাইলেও বিসিবির ইচ্ছা আপাতত ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর। আগামী ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে জাতীয় দলের কোচ জেমি সিডন্সের চুক্তির মেয়াদও। বিসিবি সেটাও এক বছরের জন্য বাড়াতে চায়। যদিও সিডন্সের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ওপর।

No comments

Powered by Blogger.